নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ফতুল্লা রেলষ্টেশনে মাদকের জমজমাট ব্যবসা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:১৮:২৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ফতুল্লা রেলষ্টেশনে মাদকের জমজমাট ব্যবসা

মাদকের জমজমাট ব্যবসা চলছে ফতুল্লার গোটা রেলষ্টেশন এলাকা। হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বার বার মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুকার দিলেও কিছুতেই কর্নপাত করছে না মাদক ব্যবসায়ীরা । তবে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ থানার অন্যান্য এলাকায় মাদকের ব্যাপারে কঠোর ভুমিকা নিলেও ফতুল্লা রেলষ্টেশন ও জোড়পুল এলাকায় পুলিশের তৎপর না থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচঁকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দূর্বল চার্জ টে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাব এর কারণে আইনের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে আসছে অভিযুক্তরা।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান। অথচ মাদকের মুল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেপ্তার হলে মুল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়েজিত করান।

 

এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে । আবার কেউ কেউ নিজেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে। এ মাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে গড ফাদাররা সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদের কে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা হলো, একাধিক মামলার আসামী সোরহাবের ছেলে হান্ড্রেড বাবু, মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে নাসির শেট, মৃত সামসুল হকের ছেলে ও ক্রসফায়ারে নিহত লিপুর ভাই ডাকাত শাহিন, মৃত সেকান্দারের ছেলে লতিফ, আলাউদ্দিনের ছেলে জাবেদ, আমজাদের ছেলে সুকানী সুমন, আলী আক্কবরের ছেলে আমির হোসেন পিচ্ছি, আল্পনা, মৃত রশিদ মিস্ত্রীর ছেলে মানিক, কাদিরের ছেলে পিচ্ছি সোহেল, চোরা সুমন, হানিফ, টোকাই সেলিম, কালুসহ অনেকে জেল হাজতে থাকলেও তাদের সেলসম্যান দারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে অনেকে।

 

এ ব্যাপারের ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ কর্তার গতানুগতি বক্তব্য হচ্ছে, আমরা মাদক ব্যবসায়িদের গ্রেপ্তারে সব সময় অভিযান চালাচ্ছি। প্রায় সময় মাদক ও উদ্ধার ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে আসলে তো আমাদের কিছু করার নাই।

সম্পর্কিত বিষয়: