নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

০৯ অক্টোবর ২০২৪

দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন একই শিক্ষক, তোলেন বেতন-ভাতাও

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:০৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন একই শিক্ষক, তোলেন বেতন-ভাতাও

সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে একই ব্যক্তি দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টানা ৩ মাস ধরে এভাবে চলার পর নজরে আসায় নড়েচড়ে বসেছে নবীগঞ্জ গালর্স স্কুৃল এন্ড কলেজের কর্তৃপক্ষ।

নিয়ম লঙ্ঘন করা এই শিক্ষকের নাম সোলায়মান। তিনি নবীগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতা করছেন সহকারী অংক শিক্ষক হিসেবে। অন্যটিতে নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলেও শিক্ষকতা করছেন। তবে নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান হলেও অপরটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুৃল এন্ড কলেজে সহকারী অংক টিচার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে সরকারি বেতন– ভাতাও নিয়মিত পাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে ২০২৪ সালের জুন মাসে নবীগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলে যান এবং আইডিয়াল স্কুলে যোগদান করেন সোলায়মান। সেখানেও তিনি কর্মরত আছেন অদ্যাবধি।

নবীগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ্য দেখিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সায়মান খানম এর কাছ থেকে তিন মাসের জন্য ছুটি নিয়েছেন শিক্ষক সোলায়মান। একই সঙ্গে বেতন– ভাতাও নিয়েছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি অভিভাবক প্রতিনিধিদের নজড়ে আসলে আগস্ট মাসের বেতন- ভাতা তুৃলতে পারেনি ওই শিক্ষক।

তবে জুন মাসে চলে গেলেও জুলাই মাসের বেতন তুলে নিয়েছে যার হিসাব বিলও রয়েছে। এরপর থেকে সোলায়মান শিক্ষকের খোঁজ খবর নিতে থাকেন অভিভাবক প্রতিনিধিরা। এক পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলে কর্মরত রয়েছে বলে জানতে পারেন।

এদিকে শিক্ষক সোলায়মান জানান, তিনি জুন মাস থেকেই নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে একে বারে হিসাব শেষ করে তিনি চলে যান। এরপর থেকে ওই স্কুলের সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান। তিনি চলে যাওয়ার পরও জুলাই মাসে বেতন তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে জানতে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সায়মা খানমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর কাউয়ূম জানান, কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছেড়ে অন্য স্কুলে যোগদান করার পর বেতন-ভাতা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো।

এবিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এ মুহাইমিন আল জিহান জানান, অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
 

সম্পর্কিত বিষয়: