নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪

“আমি পারলে তো তাঁর প্রেমে পড়ে যাই”

প্রকাশিত:০১:৪৯, ২৯ এপ্রিল ২০২১

“আমি পারলে তো তাঁর প্রেমে পড়ে যাই”

বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী সদ্য প্রয়াত। কিন্তু তার অসংখ্যক স্মৃতি রয়ে গেছে। রয়ে গেছে না বলা অনেক কথা। যা তার জীবনদশায় প্রকাশ হয়নি। আজ প্রকাশিত হলো-‘কবরীর না বলা কথা’ পর্ব-৬। “আমি পারলে তো তাঁর প্রেমে পড়ে যাই”। লিখেছেন সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন রবিন।

২০১৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাওনা ১ লাখ টাকা কবরী দান করছেন প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে। কবরী বলেন, “অভিনয় করে আমি অনেক কিছুই পেয়েছি। মানুষের ভালোবাসা তার মধ্যে অন্যতম। এর কোনো তুলনা নেই। জীবনে চলার পথে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দুঃখকষ্ট আমাকে সব সময় পীড়া দিয়েছে। সব সময় চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার। এ টাকা হয়তো তাদের জন্য কম, তবুও তাদের সামান্য উপকারে এলে আমার অর্জন সার্থক হবে”।

তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি স্যোসাল ওয়ার্ক করি। যখন আমার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ছবির সময় লাহোরে একজন লোক মারা গেছে। অবজারভার পত্রিকার মাধ্যমে সাহার্য্য চাওয়া হয়েছিল। আমি তখন ৮০০ শত টাকা সাহার্য্য করেছিলাম। সেই থেকে আমার সোস্যাল ওয়ার্ক শুরু। এরপর বঞ্চিত নারী ও শিশুদের জন্য এবং অটস্টিক ও প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছি। আমার বিয়ের আগে ড: নীলিমা ইব্রাহিমের ইউনাইটেড ন্যাশনসহ অনেক অর্গানাইজেশনে কাজ করেছি। ইনার হোল নোটারী করে তো আমরা নিজের পকেটে পয়সা দিয়ে ওয়ার্ক করেছি। ওই সময় থেকে মানুষের কাছাকাছি চলে গেছি।

কবরী বলেন, আমি অনেক ছবি বিনে পয়সায় করে দিয়েছে। আজিম ভাইয়ের রংবাজ ছবিতে পয়সা নেইনি। আমার গুরু দত্ত দা। কিন্তু খান আতা আমার একজন প্রিয় মানুষ। আমি তাকে খুব ভালোবাসতাম। তার কথা বলা, ডায়লগ বলার স্টাইল। অভিনয় শেখানো। সব কিছু মিলিয়ে বহুগুনের প্রতিভা ছিল তার মধ্যে।

তিনি বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সোশ্যাল ওয়ার্ক করেছি। রাজনীতি করেছি। মেধা কখনও চাপা দিয়ে রাখা যায় না। এই যে আমি কবরী হলাম। হয়তো বাধা দিয়েছে, বাধা অতিক্রম করেছি। কিন্তু আটকিয়ে রাখতে পারেনি।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া নিয়ে কবরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন আমাকে স্পায়ার করে। যখন শুনি ওনার বজ্রকন্ঠ, আমি পারলে তো তার প্রেমে পড়ে যাই। কী সুন্দর ছিল তার হাসি, সব মিলিয়ে কত বড় মনের একজন মানুষ ছিলেন তিনি, চিন্তাও করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর সুবাধে আমার মুক্তিযুদ্ধ। ওনার ভাষন আমাকে মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে। আগমী পর্বে পড়ুন-“কবরীর ভালো লাগা খারাপ লাগা”।

আরও পড়ুন :“আমি যদি মরে যাই”