নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় আহাদ বাবু নামে ৫ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় অন্য ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং আরেক ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক নাজমুল হুদা লিয়ন (২৮) গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ভেলপোপা এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে। সে ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার আবুল হোসেনের ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, একই এলাকার বাসিন্দা ও পাশাপাশি ভাড়া বাসায় থাকার সুবাধে আসামি নাজমুল হুদা লিয়নের সঙ্গে মো. আব্দুল মজিদের পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সঙ্গে প্রায় সময়ই লিয়ন আব্দুল মজিদের বাসায় টিভি দেখতো। প্রতিদিনের ন্যায় ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মজিদের বাসায় লিয়ন টিভি দেখতে যায়। সে সঙ্গে মজিদের ছেলে আহাদ বাবুর সঙ্গে বসে একসাথে টিভি দেখতো। এ সময় মজিদের স্ত্রী টিভির ভলিয়ম কমানোর কথা বলে পাশের রুমে নামাজ পড়তে যান। নামাজ পড়ে এসে তাদের কাউকেই রুমে পাননি। পরে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাদের ছেলে আহাদ বাবুর সন্ধান পাননি।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা থেকে ফোনে বলা হয় আহাদ বাবুকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে নাজমুল হুদা লিয়নকে আটক করা হয়। এবং এ ঘটনায় নাজমুল হুদা লিয়নকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করা হয়। আদালত সে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
