![ফতুল্লায় জাল দলিল সৃজনের মামলায় ৭ সহোদরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফতুল্লায় জাল দলিল সৃজনের মামলায় ৭ সহোদরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা](https://www.narayanganjtimes.com/media/imgAll/2021May/arrest-order-2405142218.jpg)
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের দেওভোগ বাংলাবাজার এলাকায় পরস্পর যোগসাজসে সম্পদ আত্মসাত করার হীন মানসে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃজনের মামলায় ৭ সহোদরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ মে) নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলী আকবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরোয়ানা ভুক্ত আসামীরা হলো, দেওভোগ বাংলা বাজার হাজী উজির আলী স্কুলের দক্ষিন পার্শ্বে উত্তর গোয়ালবন্দ এলাকার মৃত মো. আলাউদ্দিন ও মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন দম্পতির ৭ ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলু (৬০), মুক্তার হোসেন (৫৭), মো. মোজাম্মেল হক (৫৫), মো. আলী হোসেন টিটু (৫০), মো. বাদল মিয়া (৪৮), মো. সুমন আহম্মেদ (৪৬) ও মো. জনি মিয়া (৪৪)।
জানা গেছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিআইডির এসআই (নিঃ) মো. আবদুস সাত্তার মোল্লা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন আমার সার্বিক তদন্ত, প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ, জেলা রেজিস্ট্রার অফিস হইতে দলিল যাচাইয়ের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এবং দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-৪৬২/২০২১ এর সাক্ষী নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রি অফিস সদর রেকর্ডরুমের নকল নবীশ ওসমান গনি এর জবানবন্দি পর্যলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, অত্র মামলার বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজসে আত্মসাত করার হীন মানসে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল নং- ১৫৩৭, তারিখ-১২/০২/১৯১৬ সৃজন করিয়া ৫.৫ গন্ডার স্থলে ৫.৫০ শতাংশ সম্পত্তি অবৈধভাবে লিখিয়া দাবী করে দেওয়ানী মামলা নং-৪৬২/২১ তে উক্ত ভূয়া দলিল ব্যবহার করে বর্নিত মোকদ্দমা দায়ের করায় এবং বাদী পক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় দেওভোগ বাংলা বাজার হাজী উজির আলী স্কুলের দক্ষিন পার্শ্বে উত্তর গোয়ালবন্দ এলাকার মৃত মো. আলাউদ্দিন ও মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন দম্পতির ৭ ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলু (৬০), মুক্তার হোসেন (৫৭), মো. মোজাম্মেল হক (৫৫), মো. আলী হোসেন টিটু (৫০), মো. বাদল মিয়া (৪৮), মো. সুমন আহম্মেদ (৪৬) ও মো. জনি মিয়া (৪৪)দের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ১০৯/৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলিয়া প্রতীয়মান হওয়ায় উক্ত উক্তরূপ প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নিমিত্তে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামতের জন্য অত্র প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আমার দাখিলকৃত প্রতিবেদনের সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একমত পোষন করিয়া স্মারক নং-সেন্ট্রাল ক্রাইম (এমই)/ ই)/ এসএস/ নাঃগঞ্জ/ কোর্ট/১৯৮-২০২৩/২০৮৩, তারিখ- ২৪/০৩/২০২৪ খ্রিঃ এবং স্মারক নং-এসএস/ নাঃগঞ্জ/কোর্ট/১৯৮-২০২২/৩১৬, তারিখ-২৫/০৩/২০২৪খ্রিঃ মূলে অনুমোদন প্রদান করায় উক্তরূপ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলো।
দাখিলকৃত প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত হিসেবে বাদীর অভিযোগের কপি, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের যাচাইকৃত প্রতিবেদন। আদালতের দেঃ নং-৪৬২/২১ এর কপি। দেঃ নং-৪৬২/২০২১ সংক্রান্তে সাক্ষী ওসমান গণি এর জবানবন্দির কপি। দলিল নং-১৫৩৭ এর সঠিক দলিল ও ভূয়া দলিলের কপি। দেঃ নং-৪২৬/১২ বিজ্ঞ আদালত হইতে খারিজের কপি সহ মোট ১৬০ পাতা।