
বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকায় ইট ভাটায় মাটি বিক্রি না করায় নিরীহ নিরঅপরাধ বৃদ্ধ দম্পতির বুড়া বুড়ির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে একটি ইটভাটা মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
এরপর উল্টো তাদের ধরে নিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন পরে জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগী এই ঘটনায় থানা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিলে আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
জানা গেছে বন্দরের জাঙ্গালের বাগদোবাড়ী এলাকায় অবস্থিত তিনটি বিকফিল্ডের মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন সে অন্যর জমি জোর করে দখল করে মাটি কেটে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে বেশ কয়েকটি দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে। রাতের আধারে মানুষের কৃষি জমির মাটি অবৈধ ভাবে কেটে নিয়ে অনেক অসহায় মানুষকে নিঃস্ব করেছেন। আর তার এসব কাজে তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে করে থাকেন।
তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে বা এবং ভূমি দস্যু আলমগীরকে তার ইচ্ছামত মাটি কাটতে না দিলেই পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকেন। আর এমনটাই ঘঠেছে এই বৃদ্ধা দম্পত্তির সাথে।
বৃদ্ধা ভুক্তভোগী মিনারা জানান ২০ই এপ্রিল রবিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে গভীর রাত তিনটা পর্যন্ত বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার জলিল, তার সাথে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শরীফ ও কামতাল ফাঁড়ির এএসআই মনির সহ প্রায় ২৫ জন পুলিশ আমার বাড়ির চারদিকে ঘেরাও করে রাখে।
এ সময় গনপ ইটভাটার মালিক আলমগীর ও তার সাথে থাকা ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনীর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বাড়ির চারপাশে অবস্থান নেয়। আমরা গেট না খুললে ব্যাপক হামলা লুটপাট চালায়।
পরবর্তীতে বন্দর থানা পুলিশ বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আমাকেও আমার বিরুদ্ধে স্বামীকে জোরপূর্বক থানা পুলিশের ভ্যানে তুলতে চায় বন্দর থানা পুলিশ কোন মামলা ছাড়ে বিনা ওয়ারেন্টে আমাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এই সময় আমি মামলা ছাড়া বিনা ওয়ারেন্টে কেন থানায় নিয়ে যাবেন জানতে চাইলে আমি ও আমার স্বামি আব্দুল বাতেনকে বেদম প্রহার করেন। আমি একজন বৃদ্ধ মহিলা হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ আমাকে চারটি বেত্রাঘাত করেন। তখন আমি পুলিশের হাতে পায়ে ধরে কোনমতে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাই। পরে আমার স্বামিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভূমি আইন ২০২৩ এর ১০/১৩/১৬/ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা ২৪/০৪/২০২৫ দায়ের করেন। এই ঘটনার পর থেকেই ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ভূমিদস্যু আলমগীর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।