
বন্দরে অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালের বেডে ফেলে রেখে স্বামী চিকিৎসার নগদ টাকা ও সাংসারিক আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে পাষন্ড স্ত্রী তাসলিমা বেগম।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী স্বামী খোরশেদ আলম সুমন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতারক স্ত্রীকে আসামি করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এর আগে গত সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার একরামপুরস্থ হাসনা বেগমের বাড়ি ভাড়াটিয়া মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলম সুমন মিয়া গত ৮ বছর পূর্বে চাঁদপুর জেলার সদর থানার বহরিয়া বাজার এলাকার আলী হোসেন মিয়ার মেয়ে তাসলিমাকে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে।
বিয়ের পর তাদের সংসারে ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান ও দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। খোরশেদ আলম সুমন পেশায় একজন মুদি দোকানী। গত ২১ আগস্ট মুদিদোকানী সুমন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শ্যামলী হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়।
এই সুযোগে প্রতারক স্ত্রী তাসলিমা তার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে তাদের ভাড়াটিয়া বাসায় আসে। পরে গত ২৫ আগস্ট সকাল ৯টায় স্বামীকে হাসপাতালের বেডে রেখে বাসায় রক্ষিত অসুস্থ স্বামী চিকিৎসার নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও সংসারে বিভিন্ন র্ফানিচার ও আসবাবপত্র যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা এবং ১টি এনড্রয়েট মোবাইল ফোন নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়।
গত ৩১ আগস্ট অসুস্থ স্বামী সুমন হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে ভাড়াটিয়া বাসা এসে দেখে তার ঘওে কোন আসবাবপত্র নেই। পরে ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে জানতে পারে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে তার সন্তান ও ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে তার পিত্রালয়ে চলে গেছে।
এ ঘটনার পর ভূক্তভোগী স্বামী তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বাসায় আসতে বললে প্রতারক স্ত্রী বাড়িতে ফিরবেনা প্রয়োজনে তালাক প্রদানসহ মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি প্রদান করে। এঘটনার কোন প্রতিকার না পেয়ে বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভূক্তভোগী খোরশেদ আলম সুমন।