নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফতুল্লায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত সিএনজি চালক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৭:৪৪, ২৬ মার্চ ২০২৩

ফতুল্লায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত সিএনজি চালক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

ফতুল্লায় ১ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য এক সিএনজি  চালক রাসেল (৪০) কে অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর অপহরণকারীদের কবল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারীচক্রের দুই  সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


অপহৃত সিএনজি চালক রাসেল ফতুল্লা মডেল থানার ধর্মগঞ্জের জলিল মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে অপহৃতের ভাই বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার এনায়েত নগরের সরদার বাড়ীর মোঃ আকবর সরদারের পুত্র নুর হোসেন সরদার(৪২) ও হাসান আলীর পুত্র হাবিব সরদার(২৫)।


শনিবার রাত নয়টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার শাসনগাও শামীম তালুকদারের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত সিএনজি চালক রাসেল কে হাত-পা অবস্থায় উদ্ধার সহ গ্রেপ্তার করে অপহরনকারী নুর হোসেন ও হাবিব কে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় আরো ৩ থেকে ৪ জন।  


মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বাদীর ভাই রাসেল একজন সিএনজি চালক। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে পঞ্চবটী কস্তরি হোটেলের সামনে আসামাত্র অভিযুক্তরা তার ভাই কে জোড় পূর্বক একটি অটোরিক্সায় তুলে অপহরন করে। 


পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অপহৃতের মোবাইল থেকে বাদী কে ফোন করে এক লাখ টাকা দাবী করে। অন্যথায় অপহৃত সিএনজি চালক কে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বাদী  ৫০ হাজার টাকা প্রদান করার কথা স্বীকার করে। 


গ্রেপ্তানকৃত নুর হোসেন জানায় টাকা শাসনগাও শাহী মসজিদের সামনে নিয়ে এলে টাকা পেয়ে তার ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বাদী পুলিশের সহায়তা নিলে পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে ছদ্মবেশ ধারন করে টাকা দিয়ে শাহি মসজিদ গলিতে পাঠায়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত হাবিব  টাকা নিতে এলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। 


গ্রেপ্তাকৃত হাবিবের স্বীকারোক্তি মতে শামীম তালুকদারের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে গিয়ে হাত- পা বাধা অবস্থায় অপহৃত সিএনজি চালক কে উদ্ধার সহ গ্রেপ্তার করে নুর হোসেন নামক এক অপহরণকারীকে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের  পেয়ে আরো৩-৪ জন অপহরণকারী  পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।


এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন জানায়, বাদীর নিকট থেকে অভিযোগ পেয়ে কৌশল অবলম্বন করে আমরা প্রথমে হাবিব নামক এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেখানো মতে একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলা থেকে অপহৃত সিএনজি চালক কে হাত- পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার সহ সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নুর হোসেন নামক অপর একজনকে।


১ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায়ে সিএনজি চালক কে অপহরণ করা হয়। এবং সিএনজি চালকের সাথে ২৮ হাজার ৫ শত হাজার টাকা অপহরণকারীরা নিয়ে যায়। জড়িত অপর পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।