রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী দখলকারী আরও চল্লিশটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া নদী দূষণের দায়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোসাম্মৎ তাসলিমা আকতার।
অবৈধ দখলদার থেকে শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষা করতে সোমবার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ'র ভ্রাম্যমান আদালত।
এসময় দেখা যায়, নদীর সীমানা পিলারের অভ্যন্তরে অবৈধ স্থাপনার ছড়াছড়ি। নদী দখল করায় পেপার মিলের স্থাপনা, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জেটি ও দশটি পাকা বাড়িসহ চল্লিশটি অবৈধ স্থাপনা এক্সকেভেটর দিয়ে একে একে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া বর্জ্য ফেলে নদী দূষণের অভিযোগে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে হাশেম পেপার মিল ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিইকে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোসাম্মৎ তাসলিমা আকতার।
তিনি জানান, নদী রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। নদী দখলকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন ও উপ পরিচালক এহতেশামুল পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এর আগে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া এলাকায় গতকাল রবিবার (৪ জুন) প্রথম দিনের অভিযানে শীতলক্ষ্যা নদী দখলকারী পঁচিশটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।