
আড়াইহাজারে ফেরি থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি অটোরিকশা চারজন যাত্রীসহ মেঘনা নদীতে পড়ে যায়। এ সময় সিএনজি চালক ও এক যাত্রী দরজা ভেঙে সাঁতরে তীরে উঠলেও দুই নারী যাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা ১৩ ঘন্টা চেষ্টার পর ওই দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন। এরা সম্পর্কে বউ ও শ্বাশড়ি। শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আযহার দিন ভোর ৬টার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটের মেঘনা নদীতে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানাধীন রসুলাবাদ এলাকার সাগর হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম (১৯) ও মোকাদেসের স্ত্রী খালেদা বেগম (৪২)। এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার করা হয় খালেদা বেগমের ছেলে কামাল হোসেন (১৯)-কে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
কামালের চাচাতো ভাই মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমার চাচা-চাচি পরিবারসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন। চাচা একটি পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চাচি, তার দুই ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়ি ফিরছিলেন সিএনজিতে করে। ফেরিতে ওঠার কিছুক্ষণ পর একটি ঝাঁকুনির সময় সিএনজিটি নদীতে পড়ে যায়। আমার চাচাতো ভাই কামাল উঠতে পারলেও চাচি ও ভাবি বের হতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ফেরিটির পেছনে কোনো রেলিং বা সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। সামান্য ঝাঁকুনিতেই সিএনজিটি কাত হয়ে নদীতে পড়ে যায়।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাত হোসেন বলেন, এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। ফেরিতে নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।