
ফতুল্লায় মজা কিনে দেয়া এবং গরু দেখানোর কথা বলে নয়তলা বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের চেস্টার অভিযোগে জিয়াল (৪৫) নামে এক লম্পট নিরাপত্তা প্রহরীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়বাসী।
লম্পট জিয়াল জামালপুর জেলার সদর থানার ঘোরকান্দার বন্দের পাড়ার মৃত মোন্তাজ আলী ওরফে মনু মিয়ার পুত্র ও ফতুল্লার শিয়াচর তক্কার মাঠস্থ খলিল মিয়ার ভাড়াটিয়া এবং দাপা ইদ্রাকপুরস্থ রেল স্টেশন এলাকার বরিশাল টাওয়ারের নিরাপত্তা প্রহরী বলে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেলস্টেশন এলাকায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষনের চেস্টার অভিযোগ এনে শুক্রবার (২০ আগস্ট) জিয়ালকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী দাপা ইদ্রাকপুর রেল স্টেশনের বরিশাল টাওয়ার সংলগ্ন তার বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যায়। বিকেল ছয়টার দিকে তার মেয়ে ও তিন বছর বয়সী ভাতিজি বাড়ীর সামনের রাস্তায় খেলা করছিলো।
এ সময় বরিশাল টাওয়ারের নিরাপত্তা প্রহরী জিয়াল তার মেয়ে এবং ভাতিজি কে মজা কিনে দেবার এবং গরু দেখানোর কথা বলে বরিশাল টাওয়ারের নয় তলা বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে যায়।
এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও তার মেয়ে সহ তার ভাতিজি বাসায় ফিরে না আসায় তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী রাস্তায় বেরিয়ে এসে তাদেরকে খোঁজ করতে থাকে।
এ সময় পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানী জানায় যে বরিশাল টাওয়ারের নিরাপত্তারক্ষী তার মেয়ে ও ভাতিজি কে নিয়ে বরিশাল টাওয়ারের ভিতরে প্রবেশ করেছে।
চা দোকানীর কথা শুনে তার ভাবী বরিশাল টাওয়ারে প্রবেশ করে সাত তলা সিড়ি পর্যন্ত পৌছালে দেখতে পায় যে মেয়ে ও ভাতিজিকে নিয়ে নিচে নেমে আসছে নিরাপত্তারক্ষী জিয়াল।
বাসায় ফিরে তার মেয়ে তার স্ত্রীকে জানায় যে মজা কিনে দেবার এবং গরু দেখানোর কথা বলে তাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে উলঙ্গ করে ধর্ষনের চেস্টা করে জিয়াল ।
কিন্তু শিশুটি ব্যাথায় চিৎকার করলে তাকে ভুতের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকার কথা বলে। পরে শিশুকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য মজা কিনে দেওয়ার কথা বলে।
তার স্ত্রী তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি রাত নয়টার দিকে এসে বিস্তারিত জানতে পেরে স্থানীয়দের বিষয়টি অবগত করলে তারা নিরাপত্তা প্রহরী জিয়াল কে আটক করে গনপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, শিশুটিকে বরিশাল টাওয়ারের নয় তলা ভবনের ছাঁদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের চেস্টা করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ভবনটির নিরাপত্তা প্রহরী জিয়ালকে আটক করে।
জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। শিশুটির মা বাদী হয়ে জিয়ালকে আসামী করে ধর্ষনের চেস্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।