
রূপগঞ্জের ভূলতা গাউছিয়া এলাকায় ডিকে এমসি হাসপাতালের সামনে ফুটপাত থেকে নিবাস বাহিনীর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় এই চাঁদাবাজ চক্রটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, রূপগঞ্জের ভূলতা গাউছিয়া এলাকায় ফুটপাত থেকে নিবাস, সুজন, সপ্তম ঘোষ, ইমরান খান, জুয়েল ও আলমগীর সহ কিছু ব্যক্তি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এককালীন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি ও প্রতিদিন দোকান প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীরা। চাঁদাবাজদের কোন ব্যবসায়ী যদি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তাকে এখানে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি প্রদান করে চাঁদাবাজ চক্রটি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন ফুটপাতের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানায়, উক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান করে।
তারা আরো বলেন, চাঁদা না দিলে মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে চাঁদাবাজ চক্রটি। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট এর পর নতুন একটি বাংলাদেশে বসবাস করছি। কিন্তু ৫ আগস্ট পর কিছু চাঁদাবাজ বিভিন্ন দলের নাম ব্যবহার করে যে পরিমাণে চাঁদাবাজি করছে তাতে আমরা ভীত হয়ে পড়েছি।
আমরা এই চাঁদাবাজের হাত থেকে বাঁচতে উক্ত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।