
সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে রবিবার (১৩ জুলাই) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই নারায়ণগঞ্জে তদন্তনাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার আলী আকবরের ছেলে আব্দুল মমিন (৪২) গত দুই বছর ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন এবং তিনটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে কাবিননামা সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন।
ভুক্তভোগী আরও জানান, বিয়ের চাপ দিলে অভিযুক্ত মমিন তা অস্বীকার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার নামে অপপ্রচার চালিয়ে মানহানিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এমনকি তাকে বিভিন্ন কক্ষে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের সময় ধারণ করা ভিডিও ও কথোপকথনের অডিও সংরক্ষণ করে রাখেন এবং তা ফাঁস করার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র উপ-পরিদর্শক হজরত আলী বলেন, বাদীর কাছ থেকে কিছু ভিডিও ফুটেজ ও অডিও কল রেকর্ড পাওয়া গেছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
ভুক্তভোগী জানান, এ ঘটনায় তিনি নারী নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন মামলা (নম্বর: ৪৯৯/২৪) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত মমিন বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ১২ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে যা মানহানীকর।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত এখনো প্রকাশ্যে চলাফেরা করায় তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই নিরাপত্তা চেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ ঘটনায় তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জাকিরুল বলেন, জিডি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তনাধীণ। দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।