নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৮ এপ্রিল ২০২৪

দেশকে পিছিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : আইভী

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২০:০১, ১৭ মার্চ ২০২৪

দেশকে পিছিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, অনেক কষ্ট করে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু এখন আমাদের, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের।

আমাদের দেশটা আমাদের সমাজটাকে কি কারণে জানি সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মাদকে সারা দেশ ছেয়ে গেছে, দুর্নীতিতে সারা দেশ ভরে গেছে। একক শেখ হাসিনার পক্ষের সম্ভব নয় এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা।

যদি আমরা নিজেদের অবস্থানে দাঁড়িয়ে নিজেদের বিবেককে কাজে লাগাতে না পারি, নিজদের মধ্যে যদি দেশপ্রেম না থাকে তাহলে একা আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেনা। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই এটা সম্ভব। 

রোববার (১৭ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ নগর ভবন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। এসময় মঞ্চে শিশুদের ডেকে তাদের নিয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দেন আইভী।

তিনি বলেন, আমরা রাগে ক্ষোভে অনেক কথা বলে ফেলি। দেখতে তো হবে এই দেশ কত ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একটা স্বাধীন দেশ তারপরও প্রচুর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিভাবে এই দেশকে পিছিয়ে নেয়া যায় সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মধ্যে না পড়ে আমরা আমাদের অবস্থানে থেকে এই দেশকে আমরা ভালোবেসে এগিয়ে নিয়ে যাব। 

মেয়র বলেন, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাচ্চারা এখন অনেক কিছু বুঝে। সারা বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয় আর তা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। তিনি প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর কিছু খারাপ দিক আছে সেখান থেকে বের হয়ার একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। 

গতকাল শুনলাম আমরা যেভাবে ইউটিউব ফেসবুক বিভিন্ন জিনিস সহজভাবে ব্যবহার করি এটা আর কেউ সহজভাবে ব্যবহার করতে পারবেনা। টাকা দিয়ে কিনতে হবে পয়সা দিয়ে কিনতে হবে। এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। এতে অপসংস্কৃতি অনেক কমে যেত। 

মুক্তিযুদ্ধে যিনি সবচেয়ে বেশী সাধারণ মানুষকে টানতে পেরেছেন, কথা বুঝাতে পেরেছেন সেটাই আমাদের বঙ্গবন্ধু। কৃষক শ্রমিক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে। হ্যা অনেকের অবদান আছে, এককভাবে কোনকিছু হয়না।

কিন্তু সকলকে একসাথে করার জন্য যে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর লাগে, নেতৃত্ব লাগে সেই নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

এখন অনেকেই অনেকভাবে ইতিহাস রচনা করার চেষ্টা করি। যখন যেই দল ক্ষমতায় আসে তাকে নিয়েই চেষ্টা করি। এটাতো সত্য সেদিন বঙ্গবন্ধু যদি না থাকত সেদিন যেভাবে মানুষকে তিনি একত্রিত করতে পেরেছেন সেটা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব ছিলনা। 

সবার কিন্তু নেতৃত্বের গুনাবলী নেই বা পারেনা। কেউ নেতৃত্ব দিতে পারে কিন্তু কথা বলতে পারেনা, কারো একটা আছে কারো আরেকটা আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মধ্যে সবগুলো ছিল। তিনি আমাদের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে পেরেছেন। পাকিস্তানিরা সুপরিকল্পিতভাবে বাঙ্গালিকে দাবিয়ে রাখতে আমাদের মেধাবীদের হত্যা করেছে। 

আইভী বলেন, আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ এখন সারা পৃথিবী চিনে। এর একমাত্র কারণ শেখ মুজিবুর রহমান। তারপরে তার মত নেতা আর একজনও আসে নাই।