নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

০৬ মে ২০২৪

জিয়ার ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় ঈদের পরে কঠিন আন্দোলন : আজাদ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২০:৪১, ৭ এপ্রিল ২০২৪

জিয়ার ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় ঈদের পরে কঠিন আন্দোলন : আজাদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের জিয়া হল একটি ঐতিহ্যবাহী।

এই যে আমাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলেছে তার জন্য কি মানুষ ঐতিহ্যবাহী জিয়া হলের নাম ভুলে যাবে। এই ম্যুরাল ভেঙে দিয়ে আপনারা হিনো মনতার পরিচয় দিয়েছেন। 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলা শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের না সমগ্র নারায়ণগঞ্জবাসীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে যিনি এ দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজকে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দেখছেন এই স্বাধীনতার কিন্তু ঘোষণায় দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। 

শহীদ জিয়া হলে জিয়াউর রহমানের যে মুরাল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এই জিনিসটাকে আমরা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারি না। আমি সরকারকে বলতে চাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের মানুষের মনের মধ্যে অবস্থান করে। সুতরাং আমি বলতে চাই ম্যুরাল ভেঙ্গেছেন ম্যুরাল আবার পুনরায় স্থাপন করেন।

ঠিক করে দেন যারা ভেঙেছেন তারাই ঠিক করবেন। নয়তোবা এদেশের জনগণ ও নারায়ণগঞ্জবাসী আপনাদেরকে কিন্তু উপযুক্ত জবাব দিবে। রোজা চলছে সংযমের মাস মানুষ কিন্তু দেখছে আর দু একদিন আছে ঈদের পরে কিন্তু এটাকে নিয়ে কঠিন আন্দোলন হবে। নারায়ণগঞ্জবাসী কিন্তু ছাড়বেনা কি বলেন ভাইয়েরা আপনারা ছাড়বেন। 

বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির দোয়া ও ইফতার  মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।

রবিবার (৭ এপ্রিল) বাদ আছর শহরের চাষাড়াস্থ ড্রিংক এন্ড ডাইন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের মানুষের হৃদয়ে ও স্পন্দে  অবস্থান করে। ঠিক কিনা বলুন আপনারা। আপনার একটি ম্যুরাল ভেঙ্গে দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিবেন এত সহজ না।

জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের মানুষের মন থেকে ও মাটি থেকে কখনো মুছবে না ইনশাল্লাহ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সর্বোপরিচ জিয়া পরিবারের নাম আপনারা যতই চেষ্টা করেন আপনারা কোনদিন তা মুছে দিতে পারবেন না।

তিনি বলেন,  চেষ্টা তো অনেক করেছেন আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা মামলা দিয়ে ও মিথ্যা রায় দিয়ে তাকে দেশের বাইরে রেখেছেন। এদেশের মানুষের মন থেকে তারেক রহমানের নাম মুছে দিতে কি পেরেছেন আপনারা। পারেননি এবং ইনশাল্লাহ কোনদিন পারবেন না।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সর্বোপরি জিয়া পরিবারের নাম দেশে মানুষ তাদের মনে প্রাণে হৃদয়ে লালন করে। যারা এই কুকর্মটা করেছেন আপনারা অচিরেই সংশোধিত হয়ে এই ম্যুরালকে স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। এটা মেরামতের ব্যবস্থা করেন মেরামত যেন আমাদেরকে না করতে হয়। যারা এটা ভেঙেছেন তারাই মেরামত করবেন।

সরকারকে বলতে চাই এ সকল অপরাধনীতি আপনাদের নেতাকর্মীকে বন্ধ করতে বলেন। এ ধরনের অপরাধনীতি এদেশের মানুষ কিন্তু পছন্দ করে না। সুশৃংখল রাজনীতি কিন্তু এদেশের মানুষ পছন্দ করে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরালকে ভেঙ্গে দিয়ে আপনারা এদেশের মানুষকে আরও বিতৃষ্ণা করে তুলেছেন। এগুলো বন্ধ করেন এবং যারা এটা ভেঙ্গেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, এ সরকার এত চেষ্টা করেছে, আমাদের তৃণমূলকে ধ্বংস করতে পারিনি। ধ্বংস করতে পারিনি কারণ আমাদের নেতা জননেতা তারেক রহমান অনেক শক্তিশালী। আমাদের নেতা তারেক রহমান তৃণমূলকে নিয়ে কাজ করছেন এবং এ তৃণমূলকে নিয়ে তিনি খুব আশাবাদী আরে তৃণমূলকে নিয়ে আমাদের নেতা অনেক শক্তিশালী ইনশাল্লাহ। বিএনপি হলো জনগণের দল।

বিএনপির জনগণকে নিয়েই কাজ করে। আমাদের বীর দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের জনগণকে নিয়ে কাজ করেন। এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দেশনায়ক তারেক রহমান কাজ করে যাচ্ছেন।

আপনার আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে ইনশাল্লাহ।  এদেশের নেতৃত্ব দিবেন দেশনায়ক তারেক রহমান। আর এদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে তারেক রহমান।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, রাশিদা জামাল, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন।