নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪

শামীম ওসমানকে দেখেই ছাত্রলীগ নেতাদের অসহায় কান্না

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:৪১, ১২ নভেম্বর ২০২১

শামীম ওসমানকে দেখেই ছাত্রলীগ নেতাদের অসহায় কান্না

সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ৬৯ নং পশ্চিম মাসদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার অভিযোগে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও তার কর্মীদের অবরুদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে দলবল নিয়ে নৌকা প্রতীকের ব্যাচ পড়ে পুনরায় ভোট কেন্দ্রে গেলে র‌্যাব সদস্যরা তাদের প্রতিহত করে। 


এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে এই কেন্দ্রে উপস্থিত হন সাংসদ শামীম ওসমান। তাকে দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও তার কর্মীরা। শামীম ওসমানের কাছে অভিযোগ করে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও তার কর্মীরা বলেন, ‘আমাদের কুকুরের মতো পিটিয়েছে’।


বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ৬৯ নং পশ্চিম মাসদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  শামীম ওসমান এ বিষয়ে র‌্যাবের সাথে কথা বলেন। 


শামীম ওসমান র‌্যাব কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, ওদের কেন মারা হয়েছে?  কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ওদেরকে মারা হয়নি। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওরা কেন্দ্রের সামনে ছিল। সবাই দেখেছে। ওরা এখানেই ছিল। 


এ কথা শুনে শামীম ওসমান বলেন, এখন আপনি নারায়ণগঞ্জ সামাল দেন। দেখি আপনি পারেন কিনা আর আমি পারি কিনা। আপনি ছাত্রলীগের জেনারেল সেক্রেটারিকে এভাবে চোরের মতো পেটাবেন? প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টা এরকম নাহ। এদেরকে চোরের মতো পিটানো হয়নি। এদেরকে প্রতিহত করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার  ১২ টার দিকে এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ৬৯নং পশ্চিম মাসদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রিয়াদ বিপুল সংখক কর্মী ও লোকজন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে। 


ওই সময়ে তারা মেম্বার প্রার্থী শাহজাহান মাতবরের পক্ষে  স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে দখলের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী জাকারিয়ার সমর্থকরা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। 


পরবর্তীতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে করতে চাইলে পুলিশ গিয়ে বাধা দেয় ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। তখন রিয়াদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই সময়ে কেন্দ্রের বাইরে ‘রিয়াদ ভোট চোর’ বলেও স্লোগান দিতে থাকে।


মেম্বার প্রার্থী জাকারিয়া জাকির অভিযোগ করেন, রিয়াদ লোকজন নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দী শাহজাহান মাতবরের পক্ষ নিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে লোকজন ধাওয়া করলে রিয়াদ একটি কক্ষে আশ্রয় নেয়।


এদিকে দুপুর আড়াইটায় আবারো রিয়াদ দলবল নৌকা প্রতীকের ব্যাচ পড়ে ভোট কেন্দ্রে গেলে র‌্যাব সদস্যরা তাদের প্রতিহত করে। ওই সময়ে ৩জনকে আটক করা হয়। এছাড়া এই কেন্দ্রের বাহিরে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।