নারায়ণগঞ্জে মাত্র ৫০০ টাকার জন্য মিজান সিকদার মিশর নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে আদালত একজনকে মৃত্যু দন্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। এছাড়াও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সাজার আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ৩ আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দন্ডিত প্রাপ্ত আসামী হলেন-মিঠুন মিয়া। সে বন্দর উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার মঞ্জুর হকের ছেলে মুন্না এবং বংগার ছেলে শয়ন। হত্যাকান্ডের শিকার মিজান সিকদার মিশর বন্দর কাইট্টাখালি এলাকার মৃত. শফিউদ্দিন সিকদারের ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান বলেন জানান, রায় ঘোষণার পর আসামীদের কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার মিজান সিকদার মিশর গাজীপুরে একটি ডাইং কারখানায় কাজ করত। সে ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছিলেন। পাওনা মাত্র ৫০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মিজান সিকদার মিশরের সঙ্গে তর্ক-বির্তক হয় মিঠুর। ২০১৯ সালে ২৩ জুলাই রাতে মশার কয়েল কিনতে দোকানে গেলে মিঠু ও তার সহযোগীরা মিজান সিকদার মিশরকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর দিন নিহতের ভাই সানি বাদী হয়ে মিঠুকে প্রধান আসামি করে মামলা করে। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জনের সাক্ষ্যপ্রমান শেষে মিঠুকে মৃত্যুদন্ড, মুন্না ও শয়নকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই সানি জানান, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। দ্রুত বিচার কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। যাতে এই বিচার দেখে আর কেউ কোন মায়ের বুক খালি করার সাহস না পায়।
অপরদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুন্নার মা শাহিদা বেগম বলেন, আমার ছেলে অপরাধী না, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।