নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দাবিতে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ থেকে মিছিলটি বের করে বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে পঞ্চবটি এসে শেষ করে।
এদিকে বিক্ষোভ মিছিলকে সফল করতে এনায়েতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ধর্মগঞ্জে এসে জড়ো হয়। তারা গিয়াস উদ্দিনকে এমপি হিসাবে দেখতে চায় সহ নানা ধরনের স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তোলে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠানে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনের সভাপতিত্বে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিপ্লবের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড: আকতার খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সৈরাচার হাসিনার শাসন আমলে আমরা যারা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। হামলা মামলার শিকার হয়েও হাসিনার পতনের আন্দোলন থেকে পিছু হটি নাই। জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে রাজপথে ছিলাম।
আমরা সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। এবং তিনি একমাত্র নেতা যিনি তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন। দলের নেতাকর্মীদের সব সময় খোজ খবর রেখেছেন এবং সকল সহযোগিতা সহ বিপদে সাহস যুগিয়েছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষকে বাচিয়ে রাখতে হলে বিএনপি থেকে প্রার্থী ঘোষণা করতে হবে। তাই তারেক রহমান সাহেবের কাছে আমাদের একটাই দাবি তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করুন এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণ করুন।
বক্তারা আরো বলেন, কোন অসাংগঠনিক ব্যক্তিকে ধানের শীষের দায়িত্ব না দিয়ে সাংগঠনিক ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব নিতে হবে। আর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি হিসাবে যোগ্য এবং সাংগঠনিক ব্যক্তি হলো গিয়াস উদ্দিন সাহেব।
তাকে মনোনয়ন দিয়ে তারেক রহমান সাহেব যেন তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ করেন।


































