বন্দর থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক কর্তৃক চাঁদা দাবি ও মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে উৎকোচ চাওয়ার ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সুফিয়া বেগম নামে ভূক্তভোগী এক নারী। গত বুধবার তিনি এ অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, আমরা অত্যন্ত নিরীহ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে, বন্দর থানায় কর্মরত এসআই ফারুক কিছুদিন পর পর আমার বাড়িতে আগমন করিয়া আমার নিকট দুই লাখ টাকা দাবি করে।
তিনি আমাকে স্পষ্টভাবে জানায় যে, উক্ত টাকা প্রদান না করিলে সে আমাদের বাড়িতে অবৈধ মাদকদ্রব্য রেখে আমাকে সহ আমার পরিবারের অন্যান্য সদসাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলা দায়ের করিবে এবং গ্রেপ্তার করবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ ডিসেম্বর রবিবার এসআই ফারুক আমার বসত বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কোনো ওয়ারেন্ট বা আইনগত অনুমতি ব্যতিরেকে বেআইনিভাবে তল্লাশির নাম করিয়া আমাদের ঘরের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল এলোপাতাড়িভাবে বাহিরে নিক্ষেপ করে সারিতে থাকা আসবাবপত্র ও ব্যবহার্য্য জামা কাপড় লন্ডভন্ড করে দেয়।
আমি ও আমার পরিবারের সদস্যগণ বারবার অনুরোধ, করিলেও সে কোনো কর্ণপাত না করিয়া আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়া এবং তথাকথিত ক্রস ফায়ারের হুমকি প্রদান করে।
তিনি আরও বলে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে দুই লাখ টাকা দেওয়া না হইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদেরকে শান্তিতে বসবাস করিতে দিবে না।
এ ঘটনার কারণে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি এবং যেকোনো সময় মিথ্যা মামলার শিকার হইবার আশঙ্কা রহিয়াছে।
এ বিষয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


































