গনতন্ত্রের মা, আপোষহীন সংগ্রামী নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি এক মহান অভিভাবককে হারাল। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।
সর্বপ্রথম মহান আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করছি আমার নেত্রী মা, মাটি ও মানুষের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাকে যেন মহান আল্লাহ বেহেস্ত নসিব করেন।
বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আরও দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেন।
খালেদা জিয়া তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন বলে শোকবার্তায় উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, তিনি দীর্ঘদিন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেও সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।
তিনি আরো বলেন, আমার নেত্রী গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কারো সাথে আপোষ করেনি। আপোসহীন পরিচিতি তিনি বিশ্বের নক্ষত্র। বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তার আপসহীন নেতৃত্বের ফলে গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে জাতি বারবার মুক্ত হয়েছে, মুক্তির অনুপ্রেরণা পেয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি...........রাজিউন।
তার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক প্রকাশসহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরাও শোক প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্যে শোক প্রকাশ করেন এবং তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা দেন।
এছাড়াও বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাহী আদেশে এক দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।


































