
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৭তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা- অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক জনাব ড.এ কে আজাদ চৌধরী বলেন- বর্তমান যুগ হচ্ছে আর্টিফিসাল ইন্টালিজেন্সের যুগ আর ভবিষ্যৎ তো পুরটাই নির্ভর করবে এআই এর উপর, পৃথিবীর মোট শ্রম সিংহ ভাগ দখল নিবে এআই যেটাকে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত বলি। আমরা জানি শক্তির কখনও বিনাশ হয় না, এটা একটা রূপ থেকে অন্য একটা রূপে রূপান্তরিত হয়, আর্টিফিসাল ইন্টালিজেন্সের যুগে ওয়ার্ক লোডই থাকবে না, মেশিন গুলো এমন পর্যায় চলে যাবে যেখানে আমাদের কর্তৃত্ব থাকবে না সেখানে কোটেশন অনুযায়ী হিসাব হবে সেটা মানুষ হোক বা বানর, মেশিন তো মেশিনই সে বুদ্ধিমান মানুষ বা বানরকে এক জায়গাতেই চিন্তা করবে আর সেখানেই মানবিকতার প্রশ্ন আসে, আর এ সব বিবেচনা করেই অনেকে এআই কোম্পানী গুলি থেকে রিজাইন দিয়ে ছিলো, একটা সময় আসবে তখন কোন বেরিয়ার থাকবে না এক দেশে বসে অন্য দেশের কাজ করবে সবাই তখনই গ্লোবাল সিটিজেন হয়ে যাবে।
তিনি রণদা প্রসাদ সাহা সম্পর্কে বলেন- ছাত্র অবস্থাতেই তাঁকে দেখেছি ৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনারা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো ৩০ লক্ষ শহীদের মধ্যে রণদা প্রসাদসাহা ও তার ছেলেও একজন, সব শহীদরাই মহান তবে এই মহানদের মধ্যেও কিছু থাকে আরও মহান তাদের তালিকায় হচ্ছেন রণদা প্রসাদ সাহা বা আমাদের সকলের জেঠুমনি।
ড.এ কে আজাদ রণদা প্রসাদ সাহাকে আপেলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস আর বিল গেটসের চাইতেও বড় মনে করেন কারণ তারা নানান সম্ভাবনাময় দেশে থেকে বড় হয়েছেন আর আরপি সাহা ভঙ্গুর একটা দেশকে শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে এক উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন একাই
এই জন্মজয়ন্তীতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- মোঃ ওমর ফারুক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জনাব ড. মণীন্দ্র কুমার রায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজীব প্রসাদ সাহা- ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল, চেয়ারম্যান- আরপি সাহা বিশ্ববিদ্যালয় শ্রীমতি সাহা- পরিচালক, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল মহাপতি বীর- পরিচালক, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল