
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা ট্রাক বাস মালিক সমিতির সাথে বসবো দ্রুত সময়ে। বর্তমানে অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অনেক হেলপার বাস চলাতে গিয়ে, আমাদের জীবনের চেয়ে মূল্যায়ন কিছু হতে পারে না।
এগুলো কিভাবে রোধ করা যায় এমন কিছু জানতে হবে। বাস ট্রাক ড্রাইভার হেলপারদের রেষ্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তারা কোথায় কিভাবে রেস্ট নিতে সেগুলো নিয়ে বসতে হবে।
আপনারা বাস ট্রাক দিয়ে ব্যবসা করবেন, কিন্তু মানুষের জীবন নিয়ে খেলামেলা করা যাবে না। আমরা শুধু চারা বা বৃক্ষ রোপন করিনি। আমরা প্রায় ১২০ ট্রাক ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করেছি। প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জকে আরও সুপরিচিত করার জন্য সাইনবোর্ডে "গেইট অফ ড্যান্ডি" স্থাপন করবো। আমরা দ্রুতই কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।
রবিবার (২২ জুন) বিকালে জিমখানা লেক পার্কে গ্রিন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নিতাইগঞ্জ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
সমিতির থেকে প্রায় শতাধিক গাছ রোপনে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি শংকর সাহা, আটা ময়দা মালিক সমিতির সভাপতি ওয়াজেদ আলী বাবুল, চাউল আরতদার মালিক সভাপতি লিটন, ডাল ব্যবসায়ী মালিক সমিতর সভাপতি শরফউদ্দিন, ট্রাক মালিক সভাপতি হারণুর রশিদ বাবুল, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুজন, সাধারণ সম্পাদক শামীম ও লোড আনলোডের সভাপতি রহমান প্রমুখ।
তিনি বলেন, শীতলক্ষ্যা নদী ছিল নারায়ণগঞ্জের প্রাণ। সেই নদীটি আজকে হারিয়ে গেছে। শীতলক্ষ্যায় সেই নদীতে এখন আর জীববৈচিত্র্য পাওয়া যায়না, সেই নদীতে এখন আর মাছ পাওয়া যায়না। এই শহরটিকে যদি আমরা বাঁচিয়ে রাখতে চাই, তাহলে সবুজের বিকল্প নাই।
নারায়ণগঞ্জকে সবুজে ঢেকে দেয়ার লক্ষ্যে গত ১০ মে বিভাগীয় কমিশনারের হাত ধরে আমরা এক লক্ষ গাছের চারা রোপনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। এরই মধ্যে আমরা ৩০ হাজার চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা এই মাসের মধ্যে এক লক্ষ চারা রোপনের পরিকল্পনা নিয়েছি। কারণ আমাদের সামনে আরও কর্মসূচি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ যে প্রাচ্যের গৌরব তা আবার সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবো। 'গ্রীণ এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ' কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জবাসী যেভাবে পাশে ছিলো ঠিক সেভাবেই 'গেইট অফ ড্যান্ডি' করার সময়ও পাশে পাবো আশা করি।