নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৭ জুলাই ২০২৪

বন্দরে ৪টি স্কুলে এসএসসির ফলাফল বিপর্যয়, শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:২২, ১৪ মে ২০২৪

বন্দরে ৪টি স্কুলে এসএসসির ফলাফল বিপর্যয়, শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বন্দরে এবার বেশ কয়েটি স্কুলে ফলাফল বিপর্যয়ে শিক্ষার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে আলোচিত ৪টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ফলাফল অনেক খারাপ করেছে।

এতে অভিভাবক মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সমালোচন ও নানা মন্তব্যে ঝড় বইছে। 

জানাগেছে, বন্দর উপজেলায় ২৩টি স্কুলের মধ্যে ২৩তম হয়েছে সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে ৬২জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ২৫ জন। বাকি ৩৭ জন ফেল করে। এ স্কুলের পাশের হার ৪০.৩২ শতাংশ। 

২২তম হয়েছে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মডার্ণ একাডেমী। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬৮ জন এর মধ্যে পাশ করেছে ৪০ জন বাকি ২৮ জন ফেল করে। এ স্কুলের পাশের হার ৫৮.৮২ শতাংশ। 

২১তম হয়েছে নাসিম ওসমান মডেল একাডেমী। এ স্কুল থেকে ৯৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৫৮ জন বাকি ৩৬ জন ফেল করেছে। এ স্কুলে পাশের হার ৬৩.০৪ শতাংশ। 

বন্দরের ঐতিহ্যবাহী নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২০তম হয়েছে । এ বিদ্যালয় থেকে ২২০ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১৪৪ জন পাশ করেছে। বাকি ৭৬ জনই ফেল করেছে। এ স্কুলের পাশের হার ৬৫.৪৫ শতাংশ। 

এদিকে নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে ফেসবুকে নানা জন নানা মন্তব্য করতে শুরু করেছে। একজন লিখেছেন অদক্ষ শিক্ষক দিয়ে স্কুল পরিচালনা করলে শিক্ষার মান আরো নিচে নেমে আসবে।

এ স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাস না করে বেশী সময় পার করে নিজেরা পিকনিক করে। অদক্ষ প্রশাসনিক কার্যক্রম। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক সায়মা খানম জানান,  ২২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৪ জন পাশ করেছে। ৭৬ জন অকৃতকার্য হয়েছে। এটি সম্পূর্ণটাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কারণে হয়েছে। ৭৬ জনের বিষয়ে আমার প্রবল আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ম্যানেজিং কমিটি তাদের ফরম ফিলাপ করান। যাতে আমার স্বাক্ষর নেই। এক্ষেত্রে সরকারী রীতি অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে প্রধান শিক্ষকের কিছু করার থাকে না। অন্তত টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রদের যাতে ম্যানেজিং কমিটি কোন অবস্থাতেই ফরম ফিলাপ করাতে না পারে সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন প্রয়োজন। আমার স্কুলের টেষ্ট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়া সকলেই পাশ করেছে। অর্থাৎ শতভাগ পাশ। সেখানে শুধুমাত্র ম্যানেজিং কমিটির কারণে আজ স্কুলের পাশের হার কমছে।

অপরদিকে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মর্ডাণ একাডেমীর চেয়ারম্যান বলেন, আমার এখানে যারা ভর্তি হয়েছে তারা ান্য স্কুল থেকে ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীরা। তাদের আমি শিক্ষাদান করে পাশ করিয়েছি।

যারা ফেল করেছে তারা নিয়মিত স্কুলে আসে নাই। তাই তারা ফেল করেছে। যদি তারা নিয়মিত স্কুলে আসত তবে আমার স্কুলে পাশের হার শতভাগ হতো। 

আমি মনে করি যাদের ঝেড়ে ফেলে দিচ্ছে অন্যান্য স্কুল তাদের আমি ঘষে মেঝে তৈরী করে ঝড়ে পড়া থেকে রক্ষা করছি। সম্প্রতি এ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কোচিং না করার জেরে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার। 
 

সম্পর্কিত বিষয়: