জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত ও একনিষ্ঠ সহযোগী চাঁন মিয়া প্রধানের ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী ব্হৃস্পতিবার। চাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার নাতি সায়েম প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের নানা বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে স্যাটাস দিয়েছেন।
ওই স্যাটাসে সায়েম প্রধান উল্লেখ করেন, আজ আমার দাদাজান জনাব চাঁন মিয়া প্রধান এর ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৫৪ ইং সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন কালীন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি (বর্তমান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা) ছিলেন। দাদাজানের মৃত্যুর পর ততকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতারা আমাদের বাসায় টেলিফোনে শোক প্রকাশ করেন এবং পরিবারকে শান্তনা দেন।
তখন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও শহর আওয়ামীলীগ এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনাব আনসার আলী, শেখ মিজানুর রহমান, ডাঃ এস হোসেন, অধ্যাপিকা নাজমা রহমান প্রমূখ আমাদের বাস ভবনে ছুটে আসেন এবং সংবাদ পত্রে আওয়ামীগীগ নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ পায়।
আমার দাদাজান আমৃত্যু আওয়ামীলীগ এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি মরহুম চাঁনমিয়া প্রধান বৃটিশ ভারতের শ্রমিক রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি তদানিন্তন শ্রমিক ফেডারেশনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে ইংরেজদের বহু জুলুম নির্যাতন এর স্বীকার হন।এজন্য তিনি কয়েকবার চাকরিচুত্য ও হন।
আমার দাদাজান জীবীত থাকা অবস্থায় তার মুখে ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনে, ১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলনে, ১৯৬৯ এর গন অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ এর নির্বাচনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ এর ইতিহাস শুনে আমরা অনুপ্রানিত হতাম। তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছে অনেক বিশ্বস্ত ও একনিষ্ঠ সহোযোগী ছিলেন।
১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আমার দাদাজানের আদেশে তার দুই পুত্র আমার জেঠা জনাব হাসান আলী প্রধান এবং আমার পিতা জনাব মোহসীন আলী প্রধান এবং তার দুই ভাগিনা মোজাফ্ফর হোসেন (সাবেক কমিশনার) ও আব্দুল সোবহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।
এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তার বিরাট অবদান রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ এর কাইজুদ্দীন সাহেব, সোনামিয়া সাহেব এবং আমিজউদ্দিন সাহেবের ভগ্নিপতি ছিলেন তিনি।
সবশেষ তিনি বলেন, আমার দাদাজানের জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহপাক যেনো তাকে জান্নাত নসীব করেন।