
ফতুল্লায় যুবলীগ নেতা বৈষম্য বিরোধী একাধিক হত্যা মামলার আসামী মেহেদী হাসান শাহিন (৪০) কে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা।
সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর সাহার সিটি মাঠ এলাকাস্থ একটি তালাবদ্ধ ফ্ল্যাট থেকে যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান শাহিন কে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
মেহেদী হাসান শাহিন ফতুল্লা ইউনিয়ন ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির দ্ধায়িত্বে রয়েছেন।সে ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুরের আবুল মিয়ার পুত্র।
৫ আগস্টের পর যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান শাহিন আত্নগোপনে চলে যায়। কোরবানী ঈদে সে ফতুল্লা দাপা ইদ্রাকপুর সাহার সিটি মাঠস্থ এলাকায় ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রীর ফ্লাটে আশ্রয় নেয়।
সোমবার রাতে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা কর্মীরা শাহিন অবস্থানরত ঐ বহুতল ভবনটির চারদিক দিয়ে ঘেরাও করলে বিষয়টি টের পেয়ে সে পার্শ্ববর্তী একটি ফ্ল্যাটে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে বাইরে থেকে তার স্ত্রীকে দিয়ে বাইরে দিয়ে তালা মেরে দেয়।
ছাত্রদল নেতা কর্মীরা তা আচঁ করতে পেরে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে বাথরুমে লুকিয়ে থাকা শাহিন কে টেনে হিচড়ে বের করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিয়ে সোপর্দ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান,শাহিন কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ইয়াসিন,পারভেজ সহ ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা রয়েছে।