সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপ-এ গ্রুপ খুলে এক নারী কনস্টেবলের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৪ জুন) তাকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পর নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নূরুন নাহার ইয়াসমিন শুনানী শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান ।
আদালত থেকে রিমান্ড মঞ্জুরের পর হাজত খানায় নিয়ে যাওয়ার পথে মামলার বাদীকে উদ্দেশ্যে করে আসামী হৃদয় খান চিৎকার করে বলতে থাকেন, “আমি ২০ বছর জেল খাটলেও তোমাকে বিয়ে করবোই !” হৃদয় খানের পক্ষের আইনজীবী লিজাসহ অনেকেই আসামীর এমন বক্তেব্যে ও আচরনে হতভম্ব হয়ে পড়েন ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন ওই নারী পুলিশ সদস্য।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর ফখরুদ্দীন ভুইঁয়া জানান, মামলার পরপরই পুলিশি অভিযানে শুক্রবার ভোররাতে জেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে হৃদয় খানকে গ্রপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ওই নারী পুলিশ সদস্য নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি একটি জেলা পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত যুবক হৃদয় খান ওই নারীর আত্মীয় এবং তাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে হৃদয়ের সাথে নিয়মিত ভিডিও কলে যোগাযোগ হতো তার। হৃদয় খান তাকে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও আদান-প্রদান করে। পরবর্তীতে যা হৃদয় তার মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখে।
এজাহারে আরও বলা হয়, যখন হৃদয়ের সাথে তার সম্পর্কের টানা পোড়েন শুরু হয় তখন হৃদয় নারী পুলিশ সদস্যের জি-মেইল এর কন্ট্রোল নিয়ে সেখান থেকে মোবাইল ফোনের যাবতীয় নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যের মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে তা ছড়িয়ে দেয়।