নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বন্দরে মাদক কারবারি দম্পত্তীর সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাসী স্ত্রী জখম

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২০:৩৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বন্দরে মাদক কারবারি দম্পত্তীর সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাসী স্ত্রী জখম

বন্দরে তালিকাভূক্ত মাদক কারবারির মজুদকৃত মাদকদ্রব্য বাসা বাড়িতে না রাখার জের ধরে মাদক কারবারি দম্পতীর সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাসী স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩২) জখম হয়েছে। স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় আহত গৃহবধূ বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন রাতে কুখ্যাত মাদক সম্রাট সোহাগ ওরফে কানা সোহাগ ও তার স্ত্রী ঝর্না বেগমসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দাস্থ বালিয়াগাও এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ ও আহত গৃহবধূ নাজমা আক্তারের তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  বাদিনীর  স্বামী নবীর হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে প্রবাসে জীবন যাপন করে আসছে। স্বামী প্রবাস জীবন যাপনের পূর্বে বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের মাহামুদনগর এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করা কালিন সময়ে  ঝর্না বেগমের সাথে আমার পরিচয় হয়।

গত ৫ বছর পূর্বে প্রবাসী স্বামীর পরিশ্রমের টাকা দিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের পিছনে বালিয়াগাও এলাকায় একটু জায়গা ক্রয় করে  গত ১ বছর পূর্বে বাড়ী নির্মান করি। বর্তমানে আমি ও আমার মা সেখানে বসবাস করছি। বন্দর থানার মাহামুদনগর এলাকার মৃত ফুলচাঁন মিয়ার ছেলে ১নং বিবাদী সোহাগ ওরফে কানা সোহাগ একজন কুখ্যাত ও তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।

তার বিরুদ্ধে বন্দর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মাদক কারবারি সোহাগ ওরফে কানা সোহাগের মজুদকৃত মাদকদ্রব্য আমার বাসা বাড়িতে রাখার জন্য তার স্ত্রী ঝর্না বেগম টাকা প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল।

তার কথা রাজি না হওয়ার কারনে  ২ নং বিবাদী ঝর্না বেগমের কুপরামর্শে ১নং বিবাদী মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ ওরফে কানা সোহাগ আমাকে নানা ভাবে হুমকি দামকি দিয়ে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতা গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায়  ১নং বিবাদী কানা সোহাগের মজুদকৃত মাদকদ্রব্য না রাখার জের ধরে ২নং বিবাদী ও ৩নং বিবাদী শিউলি বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন আমার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা রক্তজমাট জখম করে শ্লীতাহানি করে ।

ওই সময় ২নং বিবাদী ঝর্না বেগম আমার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বনের চেইন সাথে ২ আনা ওজনের একটি লকেট যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৩নং বিবাদী শিউলি বেগম আমাকে কিল-ঘুষি মারে নিলাফুলা জখম করে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী প্রবাসী স্ত্রী।
 

সম্পর্কিত বিষয়: