নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

০৫ মে ২০২৪

ফতুল্লায় শালিসি বৈঠকে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে আহত যুবকের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:২১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফতুল্লায় শালিসি বৈঠকে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে আহত যুবকের মৃত্যু

নারায়গঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায়  শালিসি বৈঠকে তর্ক বিতর্কের জের ধরে প্রতিপক্ষের বেধড়ক পিটুনিতে বাবু (৩০) নামে এক যুবক মারাত্মক আহত হয়। পরে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে।  এরআগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতুল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ঘটনা ঘটে।  


এ ঘটনায় উভয় পক্ষেও আরও ৮/১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাবু নিহতের সংবাদে অপরপক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।  

 

এদিকে বাবু মারা যাওয়ার ঘটনায় তার বড় বোন মৌসুমী বাদী হয়ে আব্দর রহমান হালিম, আরিফ, আশাদউল্লাহ, রাকিব, আলাল সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। 

 

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১ টায় কানাইনগর বেকারী মোড়ে জমির বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় ভাবে শালিসী বৈঠক বসে মেম্বার সহ মাতুব্বরগণরা। শালিসীর মধ্যে হালিম, আসাদউল্লাহ গংরা উত্তেজনা মূলক কথা বলে। 


এ নিয়ে সালাউদ্দিন, দাদন গাজী গংরা প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে হালিম, আরিফ, আশাদউল্লাহ গংরা পূর্ব পরিকল্পিত থাকায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাম, চাপাতি, বগি, হকিস্টিক সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ে। 


হালিম, আরিফ, আশাদউল্লাহ গংদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় সালাউদ্দিন, দাদন গাজী গংরা এক চেটিয়া হামলার শিকার হয়। হালিম, আরিফ, আশাদউল্লাহ গংরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন, দাদন গাজী, মহিউদ্দিন, শরীফ ও বাবুকে এলোপাথারী কোপাতে থাকে এবং লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। 


বাবু, সালাউদ্দিন, দাদন গাজী সহ আরো কয়েকজনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কা হওয়ায় তাদেরকে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বাবু মারা যায়। 


একই সময় আহত হয় অপর পক্ষের হালিম, আলাল রাকিব সহ আরো দুইজন আহত হয়। তবে হালিম, রাকিব, আশাদউল্লাহ গংদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় বাবু সহ আরো কয়েকজনকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। 


মৌসুমী জানান, হালিম, রাকিব, আশাদউল্লাহ গংরা পরিকল্পিত ভাবে তার ভাই বাবু সহ আরো কয়েকজন রামদা, চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে কোপাতে থাকে। বিশেষ করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপায়। আমার ভাই বাচাও বাচাও চিৎকার করলে হালিম গংদের একটুও মায়া হয়নি, তারা আমার ভাইকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।


এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আযম মিয়া জানান, বক্তাবলীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষের বাবু নামের একজন মারা গেছে আরো কয়েকজন আহত হয়েছে।


বাবুকে হত্যা এবং অন্যদের আহত করার ঘটনায় নিহতের বড় বোন মৌসুমী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।