নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

০৫ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপির অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে হত্যা মামলার আসামি সাংবাদিকসহ নেতাকর্মীরা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:১৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে হত্যা মামলার আসামি সাংবাদিকসহ নেতাকর্মীরা

বন্দরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে হত্যা মামলার আসামী হয়েছে সাংবাদিক ও তার পরিবার।  রোববার (১ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে বন্দর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন সাংবাদিক পরিবারের সদস্য মোক্তার হোসেনসহ বিএনপির একাধিক নেতা। 

বন্দর প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা মোক্তার হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন  বিএনপি সাধারণ সম্পাদক  আমজাদ হোসেনসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা মাসুদ রানা ও যুবদল নেতা জাহিদ খন্দকারকে ধরতে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ ভাইকে না পেয়ে তাদের ভাই ওয়াদুদ খন্দকারকে গ্রেফতার করে বন্দর থানার একটি জ্বালাও পোড়াও মামলায় চালন করে এবং রিমান্ডে এনে নির্যাতন করে।

পরে তাকে কারাগারে প্রেরন করে আদালত। সে এক মাস কারাভোগের পর অসুস্থ্য অবস্থায় জামিন পায়। পরে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে সে মারা যান। এ মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র ২ বছর পর আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা মাসুদ রানা তৎকালিন ৩ পুলিশকে বিবাদী করে একটি এজাহার থানায় জমা দেয়।

পরে বিএনপির অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ইন্ধনে মানবজমিনের সাংবাদিক নুরুজ্জামান ও তার ভগ্নিপতি মোক্তার হোসেনকে বিবাদী ও এবং পুলিশের নাম বাদ দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত ওয়াদুদের ভাই জাহিদ খন্দকার।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা আরো বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত এড. সাখাওয়াত-টিপু বলয়ের সাথে সাবেক এসপি এড. কালাম বলয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ কারনে সাখাওয়াত বলয়ের যুবদল নেতা জাহিদ খন্দকারকে দিয়ে এড. কালাম বলয়ের বিএনপি নেতা মোক্তার হোসেন ও সাংবাদিক নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ২৮ আগষ্ট সাজানো মিথ্যা মামলা করে।

সাংবাদিক নুরুজ্জামান বলেন, সরকার পতনের পর কিছু লোক লুটপাট ও দখলবাজিতে মেতে উঠে। এ বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে এ সাজানো মামলায় আসামী করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। সাংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, হোসেইন মুন্সী, মাসুদ পারভেজ, ফুয়াদ প্রধান, তাওলাদ হোসেন, ইব্রাহীম খলিল, ফারুক, সাখাওয়াত উল্লাহ ও সম্রাট হোসেন প্রমুখ।