
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস.এম স্বপন মন্ডলের সহযোগীরা গত ৫ আগষ্টের পর কৌশলে মিলিত হয়েছে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে।
আওয়ামীলীগ আমলে স্বপন মন্ডলের সাথে থেকে তাদের করা বিভিন্ন অপকর্ম ঢাকতে সবাই বিএনপি নেতা শ্রমিক দলের আহবায়ক এসএম আসলাম মন্ডলের ছায়াতলে যুক্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আর আসলাম মন্ডলও নিজ বলয় ভারী করতে আওয়ামী লীগের এসব নেতাদের বিএনপিতে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আসলাম মন্ডলের বিএনপির বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে দেখা মিলছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মো: হাবিব মন্ডল সহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের গণহত্যায় জড়িত শ্রমিক নেতা জাহিদ হোসেন মত অনেক আসামিদেরও।
এভাবে কোনো কিছু যাচাই না করে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে আওয়ামীলীগ নেতাদের অনুসারীদের সঙ্গী করায় বিএনপির ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। বিগত দিনে এরা আওয়ামী লীগের সাথে থাকলেও এখন আগাগোড়া বিএনপি হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করতে চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় স্বপন মন্ডল নিজ এলাকায় এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করেননি। বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দেয়া, চোড়াই তেলের ব্যবসায় একছত্র আধিপত্য, কিশোর গ্যাং পরিচালনা থেকে শুরু করে সবই হয়েছে স্বপন মন্ডল ও তার অনুসারীদের নির্দেশে।
এছাড়া গত জুলাই-আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র জনতার উপর হামলা করে স্বপন মন্ডল এবং তার ক্যাডাররা। তবে এরপরও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বপন মন্ডলের অনুসারীরা বিএনপির আসলাম মন্ডলের সাথে মিশে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে আওয়ামী লীগের যারা এখন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করছে যারা করাচ্ছে দল তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ রাখবো নিজ দলের ক্ষতি করবেন না কাউকে দলে অনুপ্রবেশ করিয়ে। ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের সাথে যদি কারও সম্পর্ক থেকে থাকে তা যদি প্রমাণিত হয় তার সদস্য পদ থাকবে না।'