
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাচুর ও এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুইজন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় শাহনাজ আক্তার বাদী হয়ে গত বুধবার (৭ মে) হামলাকারি ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার আসামিরা হলো, বন্দর উপজেলার মুছাপুর এলাকার মৃত হবু মিয়ার ছেলে পারভেজ (৩২) একই এলাকার মৃত মোজাফফর মিয়ার ছেলে নাজির (৪০) পারভেজ মিয়ার ছেলে আলিফ (১৮) বন্দর মিনারবাড়ি স্ট্যান্ড মসজিদ সংলগ্ন এলাকার মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে জসিম (৩৮) বন্দর উপজেলার বারপাড়া এলাকার দিলুন মিয়ার ছেলে সাব্বির (২৫) একই এলাকার মহসিন মিয়ার ছেলে মেহেরুন ও একই এলাকার মাহমুদ আলী ছেলে শহীদ (৩০)।
মামলা ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের উত্তর বারপাড়া এলাকার মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে শাহানাজ আক্তারের ভাই সালাউদ্দিনের সাথে মুছাপুর এলাকার মৃত হবু মিয়ার ছেলে পারভেজ ও একই এলাকার মৃত মোজাফফর মিয়ার ছেলে নাজির মিয়ার সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল।
এর জের ধরে গত সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিপক্ষ পারভেজ, নাজিরসহ উল্লেখিত বিবাদীগন সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতায় বন্দর থানাধীন মুছাপুর ইউনিয়নের মুছাপুর মাষ্টার বাড়ী জামে মসজিদ সংলগ্ন আমার ভাইয়ের বসত বাড়ীতে অনধীকারে প্রবেশ করে আমার ভাইয়ের মেয়ে ও ছোট ছেলেকে অতর্কিত কিল, ঘুষি লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
একপর্যায়ে সকল বিবাদীগন আমার ভাইয়ের বসত বাড়ীর বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর সহ বসত ঘরে প্রবেশ করে স্টীলের আলমারী ভাংচুর করিয়া আলমারীতে রক্ষিত নগদ ২,৫০,০০০/- টাকা চুরি করিয়া নেয়। ৩নং বিবাদী আমার ভাতিজি সিমির গলায় থাকা একটি ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য অনুমান ১,৫০,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়।
২, ৪, ৫, ৬ ও ৭নং বিবাদীগন তাদের নিকট থাকা লোহার রড, এস.এস পাইপ, রাম দা, হক স্টিক দিয়ে আমার ভাইয়ের বসত ঘরে থাকা টিভি, কম্পিউটর, ফ্রিজ সুকেজ আলমারী, সহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করিয়া আনুমানিক ৩,০০,০০০/- টাকা ক্ষতি সাধন করে।
আমার ভাইয়ের ছেলে/মেয়ের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন প্রকাশ্যে খুন-জখমের হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। স্থানীয় লোকজন আমার ভাইয়ের ছেলে ও মেয়েকে জখমী অবস্থায় উদ্ধার করিয়া বন্দর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।