
সদর উপজেলার চর সৈয়দপুর গোগনগর ইউনিয়নে সাবেক কৃষকলীগ নেতা জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি, অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার কাশেম সম্রাট ও তার সহযোগী রানা ও সোহেলের মোটরসাইকেল শোডাউনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। বিরাজ করছে আতংক।
মঙ্গলবার লাইলী পাগলীর মাজারের সামনে ওয়েস্টেজ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের এই প্রদর্শনী স্থানীয়দের ক্ষোভের জন্ম দেয়। শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
গোগনগর-চরসৈয়দপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে কাশেম সম্রাট ও তার সহযোগী বাবু, ফয়সাল, সোহেল, মহসিন, সানি, সাইফুলের বিরুদ্ধে। নদীপথে ডাকাতি, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি থেকে হত্যা—নানা অপরাধে জড়িত তাদের নাম।
সরকার পরিবর্তনের পরও তাদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত থাকায় এলাকাবাসীরা হতাশা প্রকাশ করে বলছেন, "ক্ষমতার বদল হয়েছে, কিন্তু সন্ত্রাসীরা রয়ে গেছে। কতদিন আর এই অত্যাচার সহ্য করতে হবে?"
নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ রূপম জানান, গত ১৬-১৭ বছর ধরে এই গোষ্ঠী এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এবারও তারা ক্ষমতার প্রদর্শন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। তাদের শোডাউনের সময় স্থানীয় যুবক ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং মোটরসাইকেল জব্দ করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলা রয়েছে। পুলিশ বলছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, কেবল মামলা নয়, এই সন্ত্রাসীদের স্থায়ীভাবে দমন করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও স্থানীয় সহযোগিতা জরুরি, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর ভূমিকাই পারে এই অরাজকতা থামাতে।