
বন্দরে আওয়ামীলীগ আখ্যা দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে শাহিদা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। ভুক্তভোগী রশিদ থানায় গিয়ে করতে পারেননি মামলা।
এ ঘটনায় ২৩মে শুক্রবার সকালে বন্দরের পূর্ব কল্যান্দী খালপাড় এলাকায় এলাকার শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে হামলাকারী শাহিদা-শাহাদাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে।
এ সময় তারা শাহিদা-শাহাদাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পরে। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, আব্দুর রশীদ একজন পাগল ফকির মানুষ। আমাদের জানা মতে সে একজন গ্লোব ব্যবসায়ী। এলাকায় কোনদিন তাকে কেউ কোন রাজনৈতিক মিটিং মিছিলে দেখেছে কি না আমার জানা নেই।
অপর বাসিন্দা মোঃ সেলিম মিয়া জানান, তার বাড়ি যারা ভাংচুর এবং লুটপাট করেছে তারাই আওয়ামীলীগের দোসর। আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে তারা স্বামী-স্ত্রী এলাকায় অনেক রাজত্ব করেছে এখন আবার ভোল পাল্টিয়ে তারা নিজেদেরকে বিএনপি সাজানোর চেষ্টা করে রশীদ মিয়ার পরিবারের উপর এইসব লুটতরাজ চালিয়েছে। জিয়াবর মিয়া বলেন,আব্দুর রশীদের কোন দল নেই।
ছোট থেকে তাকে কোন দলের পক্ষে কাজ করা দূরের কথা কোন মিটিং মিছিলেও যেতে দেখিনি কিংবা কোন পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সখ্যতাও দেখিনি। এগুলো শাহিদা-শাহাদাৎ চক্রান্ত করে নিরীহ রশীদ মিয়াকে আওয়ামীলীগের সমর্থকের ট্যাগ দিয়ে তার বাড়ি-ঘরের মালামাল লুটপাট করেছে।
একই এলাকার বৃদ্ধা দেলোয়ারা বেগম বলেন,আব্দুর রশীদ মিয়াকে আমরা ৩০/৪০ বছর ধরে চিনি এবং জানি। তার বিরুদ্ধে কোনদিন কোন দলের অভিযোগ পাইনি। সে ব্যক্তিগতভাবে কোন দল করেন না। আমরা কোন দিন দেখিনি।
যারাই তার বিরুদ্ধে এসব কথা বলছে তারা রশীদ মিয়ার ক্ষতিসাধণের জন্য মিথ্যা ট্যাগ দিচ্ছে। বরং শাহিদা আর শাহাদাৎ তারা স্বামী স্ত্রীই বিতর্কিত। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। জানা গেছে, শাহিদার সাথে রশিদের জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকাদ্দমা চলছিল।
৫ আগস্টের পরে রশিদ আওয়ামীলীগ করে বলে শাহিদা থানায় গিয়ে অপপ্রচার করেন এবং ফায়দা লুটতে থাকেন।
রশিদের দাবি তদন্ত না করে আমার মামলা নিচ্ছে না ওসি। এলাকাবাসী আরো জানান আমরা রশিদকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে চিনি কোথাও তার কোন ব্যানার ফেস্টুন সমাবেশ কোন কিছুই দেখিনি আট বছর মামলা চলমান থাকলেও আওয়ামীলীগের কোন ছিটেফোঁটাও ছিল না ব্যবসায়ী রশিদের গায়ে এলাকাবাসীর আবেদন অতি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।