
রূপগঞ্জের রোহিলা এলাকায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পানিতে কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় শত শত কৃষকেরা। জমিতে ধানের চারা রোপণ ও ফসলি জমিতে আবাদ নিয়ে হতাশায় দিন কাটছিলো তাদের।
একদিকে অতি বৃষ্টি অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুইচ গেট দিয়ে নদীতে পানি না নামায় দিনে দিনে কৃষকদের হতাশা যেনো চরম আকার ধারণ করছে।
এমন দৃশ্যের দেখা মেলে রোহিলা, বাঘপাড়া, আগলা সহ আশপাশের অন্তত ৫টি মৌজার ৫'শ একর জমিতে। ফলে এসব এলাকায় যারা কৃষি আবাদের উপর নির্ভর করে জীবণ যাপন করতেন তারা ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েন।
শুধু ধান চাষ নয়, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে বিভিন্ন সবজির আবাদও নষ্ট হয়ে যায়। এতে অতিকষ্টে দিন কাটছিলো স্থানীয় কৃষকদের।
খবর পেয়ে কৃষকদের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও রূপগঞ্জ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ দুলাল হোসেন।
শুধু তাই নয়, এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে নিয়ে তাদের আবাদী জমিতে ধানের চারা রোপণ করেন তিনি। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় শত শত কৃষকদের সাথে নিয়ে রোহিলা বিলে আবাদী জমিতে ধানের চারা রোপণ করেন তিনি।
এসময় মোহাম্মদ দুলাল হোসেন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে আবাদী জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে।
তাছাড়া অতি বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও কৃষি বীজ বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও দেশের মানুষের জন্য সব সময় কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
স্থানীয় কৃষক সালাম, আজীজ, আফজাল, আজগর, আল আমীন সহ ভুক্তভোগীরা জানান, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়ে এলাকার আবাদী জমি গুলো আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে এলাকার কৃষকরা ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
পরে এলাকার সবাই মিলে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ দুলাল হোসেনের কাছে গেলে তিনি সবার কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে কথা বলে পানি সেচের মাধ্যমে জলবদ্ধতা নিরসন করেন।
শনিবার এলাকার কৃষকদের সাথে নিয়ে কৃষি জমিতে ধানের চারা রোপণ করেন। এর আগে তিনি এলাকার কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে সার ও বীজ উপহর দেন। ঘরে ঘরে এমন নেতার জন্ম হলে কৃষকের কোন দুঃখ থাকবে না।
নারায়ণগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: রকিবুল আলম রাজিব বলেন, প্রকল্পটি নরসিংদী সেচ প্রকল্পের আওতাধীন ছিল। গত জুন মাসে আমরা তার দায়িত্ব পাই। কলিঙ্গায় সুইচ গেটে পানি নিষ্কাশনের জন্য ১০টি পাম্প রয়েছে।
তবে, এখানে বিদ্যুৎ সমস্যা খুবই জটিল একটি বিষয়। বিদ্যুতের সমস্যা না থাকলে পানি নিষ্কাসনের জন্য সব সময় অন্তত ৮টি পাম্প চালু থাকে। বিদ্যুতের সমস্যা না থাকলে পানি জমার সুযোগ পেতো না। তবে, একটি আবাসন প্রকল্প তাদের সুবিধার জন্য সেচের খাল বন্ধ করে রেখেছে।
আমরা তাদের ৭দিনের সময় দিয়েছি। যদি এরমধ্যে তারা পানির খাল অবমুক্ত না করে, তবে অভিযান চালিয়ে তা দখল মুক্ত করা হবে।