বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ) ও ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি (ডাস) এর যৌথ উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (টিওটি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ৩০ জন প্রশিক্ষক এই প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণে অংশ নেন। বৃহস্পতিবার সকালে ডেক এন্ড ইঞ্জিন পার্সোনেল ট্রেনিং সেন্টার (ডিইপিটিসি), বন্দর, নারায়ণগঞ্জের সভাকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াও চালক ও অন্যন্য স্টাফগণ মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য দরকার চালক ও স্টাফগণের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিজেদেরকে অধূমপায়ী হওয়া। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ চালকদের যেমন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে পারে তেমনি চালক ও অন্যন্য স্টাফ নিয়োগ ও প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছাও দরকার বলে মনে করেন বক্তারা।
ডেক এন্ড ইঞ্জিন পার্সোনেল ট্রেনিং সেন্টার (ডিইপিটিসি), বন্দর, নারায়ণগঞ্জের এর প্রধান শিক্ষক মো: লুৎফর রহমান খান এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাস এর টীমলীড আমিনুল ইসলাম বকুল, বিইআর এর প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এ কর্মরত ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব।
কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ডাস এর প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু। কর্মশালাটির প্রথমাংশে তামাক সেবন ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিকসমূহ এবং দ্বিতীয়াংশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও দন্ড বিধি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদেও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়। কর্মশালা শেষে সকল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে প্রশিক্ষকদেরকে আরও বেশী তামাকমুক্ত আইন ও তার কূফল সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই নিজস্ব সচেতনতাই পারে
নিজেকে তামাকমুক্ত জীবন গড়তে সহায়তা করতে।
তারা আশ্বাস প্রদানের সাথে বলেন, আগামীতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের সকল কোর্সেই ভর্তির সময় ধূমপায়ীদেরকে ভর্তি না করে এনফোর্সমেন্ট এর বিষয়টা গুরুত্ব দেবে বিআইডব্লিউটিএ। প্রয়োজনে যে কোনো কোর্সের শুরুতে এবং কোর্স সমাপ্তির পরে দু’টি সার্ভে করে ছাত্র-ছাত্রীদের ধূমপানের অবস্থা যাচাই করারও পরামর্শ দেন তারা।


































