
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ১৭ বছর ধরে তারেক রহমান লন্ডনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকেও আমাদের বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে পরিচর্যা করে দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের মানুষ সুন্দর একটি স্বপ্ন দেখছেন। সেই স্বপ্ন হলো বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিনত করা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার করা এবং লুটপাট ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত লাভ করতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রয়োজন।
তার জন্য বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণ তার নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়ে তার দেশে ফিরিয়ে আসার অতি প্রহর গুনছেন। সেই সময়ে বাংলাদেশের কিছু শক্ত ও বিদেশে কিছু সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং আমাদের দেশের কিছু রেজগি দলসহ যারা গত ১৫ বছর আমাদের ছায়া তলে থাকে ছিল।
আর কিছু ইসলামিক দল রয়েছে যারা বিগত ১৫ টি বছর আওয়ামী লীগের সাথে লেজুর ভিত্তিক ওই সরকারকে টিকে থাকার জন্য সহায়তা করেছে। সেই জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোট আজকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিতর্কিত করার জন্য যাতে করে বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র উপহার দিতে না পারে এবং একটি সুখী সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ গড়তে না পারে তার চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
সেই চক্রান্ত হলো তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করা ও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কুচ্ছা রটানো। আজকে তারেক রহমান তো দেশে নাই তার জন্য তারা তাকে টার্গেট করেছে। সেটা পরিস্কার তারেক রহমানের একটাই দোষ সেটা হলো বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমানকে ভালোবাসে। জিয়া পরিবারকে ভালবাসে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর থানা বিএনপির আওতাধীন ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল চারটায় একরামপুর পৌরসভার সামনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছে এদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেই সুষ্ঠ নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিবে সেই ক্ষমতায় আসবে। যদি আমাদেরকে ভোট দেয় তাহলে আমরা ক্ষমতায় আসব আর যদি ওই সাম্রাজ্যবাদীদেরকে ভোট দেয় তাহলে তারা ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারা দেখছে জনগণ তাদের প্রতি কোনো আস্থা ও ভালোবাসা নেই।
আর কারো নেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তারা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আর সেই চক্রান্ত দাঁতভাঙ্গা জবাব এই দেশের মানুষ দিবে ইনশাল্লাহ। আমরা চাই এই অন্তবর্তী কালীন সরকার সুন্দর ভাবে দেশ পরিচালনা করুক। এদেশের জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করুক। তার জন্য কিন্তু এই সরকারকে আমরা সব ধরনের সহায়তা করেছি।
কিন্তু সেই সহায়তা নিয়ে ওই জামাত ও ইসলামী দলগুলো এবং এনসিপির ওই চিলড্রেন পার্টি গুলো আমাদেরকে দুর্বল মনে করে বিএনপির গাড়ি চেপে বসার চেষ্টা করছে। একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লব কিন্তু এমনিতে হয় নাই। এই জুলাই বিপ্লবে বিএনপির সবচেয়ে বেশি অবদান। এটাকে যদি আমরা ১০০ ভাগে ভাগ করি তাহলে ৭০ ভাগই হলো বিএনপির ।
গত জুলাই বিপ্লবে ১৫শ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এর মধ্যে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের ৪২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। বিএনপির সহ বিএনপি মনা আরও চার থেকে পাঁচশ লোক মৃত্যুবরণ করেছে। অথচ সেই ফসল চিলড্রেন পার্টি নিতে চায়। এই ফসল ওই স্বৈরাচারের দোসর ইসলামী আন্দোলন ও সাম্রাজ্যবাদী দলগুলো নিতে চায়।
কিন্তু আমি বলতে চাই আপনারাও সেই বিপ্লবের সহায়ক শক্তি। আপনাদেরকে আমরা পাশে নিয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের নেতার তারেক রহমানের তার ৩১দফা রাষ্ট্র মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখানেই বলেছে আমি সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই। সুতরাং আমাদের নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে চক্রান্ত করলে আপনারা কখনো সফল হবেন না।
মহানগর ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, সদস্য এড. রফিক আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির শাহেনশাহ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।
আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম শাহ আলম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ কাজী নজরুল ইসলাম মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু প্রমুখ।