বন্দরের লাঙ্গলবন্দের আদি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ২ দিন ব্যাপি অষ্টমী স্নানোৎসব। সুষ্ঠুভাবে স্নান সস্পাদনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৮টি স্নান ঘাটের সংস্কার, কাপড় পরিবর্তন কক্ষ ও অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ, পানীয় জল সরবরাহ এবং নদের কচুরিপানা অপসারণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
করোনার কারণে টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার পূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উৎসব। ছয় বছর আগে বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার গুজবে ভীড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১০জন স্নানার্থীর মৃত্যু হওয়ায় এবার নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে করোনার কারণে এবার বসছেনা তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লোকজ মেলা।
আয়োজকরা জানান, এ বছর শুক্রবার রাত ৯ টা ১১ মিনিটে স্নানের লগ্ন শুরু হবে। শেষ হবে শনিবার রাত ১১ টায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় অন্যান্য বারের চেয়ে এবার পূর্ণ্যার্থীর সংখ্যা বাড়বে। স্না
নোৎসবে অংশ নিতে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে পূণ্যার্থীরা ইতিমধ্যে লাঙ্গলবন্দে আসতে শুরু করেছেন।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরাত এ খুদা জানান, সুষ্ঠুভাবে স্নান সম্পাদনের জন্য সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৮ টি স্নান ঘাট সংস্কার করা হয়েছে ।
নদের কচুরিপানা পরিস্কার করা হয়েছে । বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ৪৭টি নলকুপ , একশ’ অস্থায়ী টয়লেট ও স্নান ঘাটে কাপড় পাল্টানোর ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্নানঘাট পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহবুবুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন , পূর্ণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও র্যাবের সহস্রাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন । এছাড়া সাদা পোশাকে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু সদস্য।
তীর্থস্থানের তিন কিলোমিটার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। যানজট নিরসনে ট্রাফিক ও নদীতে নৌপুলিশ কাজ করছেন।
এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভূটান ও শ্রীলংকা থেকে পূণ্যার্থীরা স্নানোৎসবে অংশ নিচ্ছেন বলে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান।


































