নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

১৪ আগস্ট ২০২৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৮:৪৬, ১৪ আগস্ট ২০২৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা চরম ভোগান্তি পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে এ যানজট শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত সড়কে যানজট ছিল।

জানা গেছে, মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে মদনপুর হয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত উভয় লেনে যানজটে আটকা পড়েন যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা। অপরদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁ অংশেও একই অবস্থা। 

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ বলছে, সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ও অতিরিক্ত যানচলাচলের কারনে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানচলাচল ধীরগতিতে চলার কারণেই যানজট। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।  

কাঁচপুর থেকে মোগরাপাড়ার উদ্দেশে আসা মানিক মিয়া বলেন, কাঁচপুর থেকে ছোট একটি বাসে উঠার পর প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে কাঁচপুর বিসিক অংশে আটকা ছিলাম। প্রায় দুই ঘন্টায় লাঙ্গলবন্দ এসে সড়ক স্বাভাবিক পেয়ে কোনোমতে আসতে গন্তব্যে আসতে পেরেছি। এখনো উভয় পাশে যানজট রয়েছে।

সফিকুল আলম নামের আরেক যাত্রী জানান, রাস্তার উভয় লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মোগরাপাড়া যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠেছিলাম, এখনো কাঁচপুরে আটকা রয়েছি।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তা মিনিবাস নাফ পরিবহন যাত্রী সুমন সরকার জানান। তিনি মদনপুর যাবেন। বাসে ওঠার পর বাস টিপরদী যাবার পরপরই যানঘটে পড়ে। গাড়ি ধীরে ধীরে প্রায় আড়াই ঘন্টায় জাঙ্গাল আসে। এক পর্যায়ে তিনি বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে মদনপুরে পৌঁছে।

নাফ পরিবহনের অপর এক যাত্রী আলমগীর হোসেন জানান, এ মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় সড়ক ভেঙ্গে খনাখন্দে পরিনত হয়। বৃষ্টিতে খনাখন্দগুলো বেড়ে যায়। অনেকদিন ধরে এ অবস্থা। গাড়ি চলে ধীরগতিতে তাই প্রায়ই এ সড়কে এমন যানজটে পড়ে আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। যেন দেখার কেউ নেই।

রূপগঞ্জের তারাবো থেকে চিটাগাং রোড়ে যাবেন পান ব্যবসায়ী জব্বার মিয়া। তিনি তারাবো থেকে একটি বাসে চড়ে কাঁচপুর বসে ছিলেন দেড় ঘন্টা। যেখানে যেতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট।  

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের কারণে এই যানজট। আমি সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ৩ দিন যাবত কথা বলে যাচ্ছি সংস্কারের জন্য। কিন্তু তাদের কোন সাড়া পাচ্ছি না। 

এছাড়া মহাসড়কে অতিরিক্ত যানচলাচল ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে মহাসড়কে আমরা সকাল থেকেই রাস্তায় থেকে যানজট স্বাভাবিকের চেষ্টা করে দুপুরে উভয় মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
 

সম্পর্কিত বিষয়: