
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে নির্যাতিত ও ত্যাগী পরিবারের নামটি কি জানেন সে পরিবারটি হলো জিয়া পরিবার। এই পরিবারটি যত ত্যাগ ও নির্যাতন সহ্য করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোন পরিবারে এতো ত্যাগ ও নির্যাতন সহ্য করেননি।
জননেতা তারেক রহমান যে ত্যাগ স্বীকার করেছে বাংলাদেশের আর কেউ এই ত্যাগ স্বীকার করেন না। তিনি দীর্ঘ ১৬টি বছর ফ্যাসিস শেখ হাসিনার মিথ্যা ও বানানোর মামলা কারণে কিন্তু তাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ ৮ হাজার মাইল দূরে থেকেও তিনি কিন্তু সারা বাংলাদেশের বিএনপি অঙ্গসহ নেতা কর্মীদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সুসংগঠিত করে রেখেছিল।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল শহরের টানবাজার ইয়াং মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের হল রুমে ১৫ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান ১৬টি বছর তিনি ৮ হাজার মাইল দূরে বসেও আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তার নির্দেশনা কিন্তু আমরা খুনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছিলাম। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল।
আপনারা জানেন তারা কোটা আন্দোলন শুরু করেছিল একটি সময়ে ফ্যাসিবাদের দোসর ডিবি হারুন ছয়জন সমন্বয়কে গ্রেফতার করেছিল তাদের আন্দোলন কিন্তু স্তব্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁদের বাকি সমন্বয়কদেরকে উৎস ও উদ্দীপনা দিয়ে কিন্তু বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে আরো ত্বরান্বিত করে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ছাত্রদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে আন্দোলনের মাধ্যমে কিন্তু ৫ ই আগস্ট খুনি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬টি বছর আমরা ভোট দিতে পারেনি। অন্তবর্তী সরকারের কাছে আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী দেশে বসে এখন অন্তবর্তী কালীন সরকারকে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের নেতাকর্মীদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
নতুন সদস্য পদ ক্ষেত্রে কোন ফ্যাসিস ও ডেভিলদের সদস্য যাতে অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখবেন তারা কিন্তু আমাদের দীর্ঘ ১৬ টি বছর আমাদেরকে অন্যায় অত্যাচার করেছে। তারা যদি আবারও সুযোগ পায় তাহলে আমাদের কিন্তু ছাড় দিবে না। আর সদস্য করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দলীয় ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদেরকে সদস্য করবেন যাতে করে তারা বাদ না পড়ে।
মহানগর ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদস্য রাশিদা জামাল, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, সদস্য জুবায়ের আলম ঝলক,১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদাউস রহমান সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাওছার রায়হান খান প্রমুখ।