পায়ের কাছে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখে প্রধান শিক্ষকের ফটোশেসন, বামে একই খুঁটিতে জাতীয় শোকের পতাকা
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে শহরের আমলাপাড়ায় নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকাকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে। এবং জাতীয় শোক দিবসে শোকের প্রতীক কালো পতাকাকেও অর্ধনিমিত রাখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে“নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, আমলাপাড়া”এর নিজস্ব পেইজে আপলোড করা একটি ভিডিও ক্লিপ ও স্থির চিত্রে দেখা যায় জাতীয় পতাকার অবমানার দৃশ্য। শুধু তাই নয়, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পনের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিকে পায়ের কাছে রেখে অবমাননা করা হয়েছে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সর্বত্র।
সূত্রমতে, জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০), ১৫ আগষ্ট কালো পতাকা উত্তোলনের বিধি অনুসারে জাতীয় পতাকাকে পতাকার প্রস্থের সমান পরিমাণ পতাকা ধারকের শীর্ষ থেকে নীচে বাঁধতে হবে এবং কালো পতাকাকে পূর্ণ উত্তোলন করতে হবে কিন্তু পতাকা স্ট্যান্ডে দেখা যায় জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা একই স্ট্যান্ডে অর্ধনিমিত রাখা হয়েছে। তাছাড়া কোনক্রমেই জাতীয় পতাকা অন্য কোন পতাকার নীচে বাঁধার বিধি নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার নিয়মনীতিরও কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। স্থির চিত্রে দেখা যায়, জাতির জনকের ছবি শহীদ মিনারের ফ্লোরে রেখে পুষ্পার্ঘ প্রদান করা হচ্ছে। যা জাতির জনককে চরম অবমাননার শামিল। নির্বাহী বিভাগ কতৃর্ক জাতীয় পতাকা পর্যবেক্ষণ কমিটি থাকলেও তাদের গাফিলতিতে প্রায়শই জাতীয় পতাকা অবমাননার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্যক ধারনা রাখে না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে বলেন, তড়িগড়ির কারণে হয়তো দুটি পতাকা ঠিক ভাবে লাগানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু তিনি জানেন না দুটি পতাকা পৃথক দুটি খুঁটি বা স্ট্যান্ডে লাগাতে হবে। এরপর প্রশ্ন ছিল জাতিরজনকের ছবি পায়ের কাছে রেখে ফুল দেয়া হয়েছে এটা কি শোভনীয় হয়েছে? জাতির জনকের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে ান? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সহকারী প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিনকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি সবকিছু এরেঞ্জ করেছেন। তখন বলা হয় আপনি তো নিজেই পায়ের কাছে জাতিরজনকের ছবি রেখে ফটোশেসন করেছেন। এই কথা শোনার পর প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে নিরুত্তর থাকেন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বলেন, আমি ফেসবুক থেকে ভিডিওটা ডিলিট করে দিচ্ছি। ভুল হয়ে গেছে।