নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

০৫ অক্টোবর ২০২৪

প্রগতি লেখক সংঘের সাংস্কৃতিক সমাবেশে বক্তারা

ছাত্র হত্যার বিচার কর, সংস্কৃতি বিরোধী সকল কালো আইন বাতিল কর

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:১৮, ১০ আগস্ট ২০২৪

ছাত্র হত্যার বিচার কর, সংস্কৃতি বিরোধী সকল কালো আইন বাতিল কর

গুম, খুন, দুঃশাসন ও ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ আগষ্ট) বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এই সাংষ্কৃতিক সমাবেশে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও গণসংগীত পরিবেশিত হয়। নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জাকির হোসেন। 

বক্তব্য রাখেন সমমনা’র সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস ও সহ-সভাপতি শ. ম. কামাল হোসেন, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সংগঠক কবি রঘু অভিজিৎ রায় প্রমূখ।

কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজলক্ষ্মী, সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক দীন ইসলাম দিপু, জেলা কমিটির সদস্য সুনীল কৃষ্ণ মাঝি, সদস্য জয়নুল আবেদিন জয় ও কবি তাপস কুমার দাস। গণসংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের অর্থ সম্পাদক সুজয় রায় চৌধুরী বিকু ও সদস্য আবুল হোসেন অলি।   

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী, আশিক, চঞ্চল, বুলু ও সাতখুনের হত্যাকান্ডসহ গত ১৫ বছরে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সকল হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ সকল নিবর্তনমূলক আইন বাতিল করতে হবে। 

এই ধারায় গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অনৈতিকভাবে বাধাপ্রদান বন্ধ করতে হবে। যাত্রা গান, পালা গান, কবি গান, বাউল গান, গম্ভীরা সহ আবহমান বাংলার লোকসংস্কৃতি চর্চায় বাধাপ্রদান বন্ধ করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা বিলের নামে শ্রমিক ধর্মঘটের অধিকার হরণের পায়তারা সহ জনস্বার্থবিরোধী যে কোন আইন প্রণয়নের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। সকল কল-কারখানায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের সকল জেলায় বাজার সিন্ডিকেট উচ্ছেদ করতে হবে। মাতৃভাষা শিক্ষাসহ সার্বজনীন, একমুখি বিজ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। সকল জাতিসত্তার রাষ্ট্রীয় সামাজিক স্বীকৃতি, সুরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড়ি জাতিসত্তার উপর অব্যাহত নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করতে হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী সকল কর্মক্ষম মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী শত শত ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এদেশের সংস্কৃতি কর্মীরা এখনই একটা বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের আশা পোষণ করছে। এই ছাত্র-জনতার সাথে একাত্ম হয়ে সংস্কৃতি কর্মীরাও লড়াই চালিয়ে যাবে।