
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ফতুল্লা থানার পাগলা ও দেলপাড়া এলাকার বহু অপর্কমের হোতা চিহ্নিত মাদক সম্রাট দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ইমরান রহমান মিঠুন ও আক্তার ওরফে কিলার আক্তারসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এদের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা চাঁদাবাজি ধর্ষণ মাদক ও অস্ত্র সহ একাধিক মামলা কোন অদৃশ্য কারণে প্রশাসন নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
বিগত সময় ছিলো আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের ছত্রছায়া আর বর্তমানে বিএনপির নেতাদের সাথে থেকে তাদের ছত্রছায়ায় পাগলা ও পপুলার স্টুডিও ,আলীগঞ্জ, নূরবাগ, রসুলপুর, কুতুবপুরসহ জুরাইন, শ্যামপুর কাজীরগাও এবং আশেপাশে এলাকাগুলোতে গড়ে তুলেছেন মাদকের স্বর্গরাজ্য।
মিঠুন ও আক্তারের রয়েছেন আলীগঞ্জ, পাগলা বাজার পপুলার স্টুডিও, নূরবাগ, রসুলপুর, জুরাইন, শ্যামপুর কাজীরগাও একটি সক্রিয় কিশোর গ্যাং বাহিনী, মাদকের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে এই বাহিনী দ্বারা বিভিন্ন হেনস্তা ও হামলার শিকার হতে হয়।
মিঠুনের বিরুদ্ধে রয়েছে তিন তিনটি হত্যা মামলা তার ভিতরে আলোচিত হত্যা মামলা হল পাগলা আফসার করিম প্লাজারের সামনে ফজলুল হক ফজল নামে এক ব্যক্তিকে সামান্য ফোল্ডিং মোবাইলের জন্য কুপিয়ে হত্যা,পাগলা পপুলার স্টুডিওতে মাদক কেনাবেচার নিয়ে দ্বন্দ্বে সালাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা ।
সর্বশেষ ভিপি রাজীব নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা ও কিলার আক্তারের বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফী,মাদক মামলা, রসুলপুর এলাকায় চাকদা স্টিল এন্ড রোলিং মিলের দারোয়ান হুজুর হত্যা, ২০০৯ সালে মুসলিম নগর এলাকায় গুলি করে বাংলালিংক কোম্পানির টাকা ছিনতাই মামলা, ২০০৯ সালে পাগলা এলাকায় হাবিবুল্লা ও মীর হোসেন মীরুকে গুলি করে হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক গুম খুন অভিযোগ রয়েছে।
২০২৩ সালের (১৫ আগস্ট) রাতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট নারায়ণগঞ্জের একটি অভিযানিক দল ফতুল্লা থানাধীন পাগলার বিভিন্ন স্থানে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিশেষ অভিযানে ২৫০ কেজি গাঁজা, ২০০০ পিস ইয়াবা, ৪০০ পুরিয়া হিরোইন উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী ইমরান রহমান মিঠুন (৩২), আক্তার হোসেন আবির ওরফে কিলার আক্তার (৩৪), খালিদ হাসান রবিন(৩৪), মোঃ আকাশ (৩০) , মোঃ কাউসার (২৩) গ্রেফতার করে।
এই দুই অপরাধীর বিরুদ্ধে এত অপকর্ম প্রশাসনের সর্বমোহল জানার পরেও কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন এটা এখন জনমনের প্রশ্ন?
পাগলা পপুলার স্টুডিও তালতলা মুন্সী খোলা আলিগঞ্জ পাগলা জেলেপাড়া শ্যামপুর, কেরানীগঞ্জ, কাজিরগাও সহ আশপাশের এলাকায় মিঠুন ও কিলার আক্তার তাদের সহযোগীদের দিয়ে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাদক কেনাবেচা করেন।
পাগলার পপুলার স্টুডিও, জেলেপাড়া ও দেলপাড়া এলাকা থেকে কুতুবপুর তথা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাইকারি বেঁচাকেনা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশাল অপরাধ চক্র।
মিঠুন ও কিলার আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনীর কারনে উল্লেখিত এলাকায় আইন শৃঙ্খলা ব্যাপক অবনতি ঘটছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য যৌথ বাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ফতুল্লা সর্বস্তরে জনগণ।