ফতুল্লার লঞ্চঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বালুবোঝাই বাল্কহেডটিতে ৫ জন লোক ছিলো, প্রত্যেকেই সাঁতরে নদীর পাড়ে ওঠে আসেন।
তবে এ সময় লঞ্চের দায়িত্বে থাকা লোকজন সাঁতরে পালিয়ে যান। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ফতুল্লা লঞ্চঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান নৌ পুলিশের পাগলা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা ভোলাগামী ‘বোগদাদিয়া-১৩’ লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সদরঘাটমুখী একটি বালুবাহী বাল্কহেডকে ধাক্কা হয়। এতে বাল্কহেডটি দ্রুত নদীতে ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চটির সামনের অংশ বালুবাহী বাল্কহেডটির ওপর উঠে যায়। বাল্কহেডটি ডুবে যেতে দেখে শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ধারণকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমি তখন নদী পার হচ্ছিলাম। যে লাইনে দুইটি নৌযান চলছিল, দূর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে সংঘর্ষ হতে পারে। তাই সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও ধারণ শুরু করি।”
পাগলা নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা লঞ্চটিকে আটক করেছি। বাল্কহেডটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় এটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


































