
বন্দরে পারিবারিক কলহের জেরে নাসির উদ্দিন দাদন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে মারধরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাতা চঞ্চল মিয়া কে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে বন্দর উপজেলার দক্ষিণ কলাবাগ খালপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির উদ্দিন ওই এলাকার মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, অনেক বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নাসির উদ্দিন দাদন রমিজা বেগমকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার সময় আনোয়ারা নামে এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
সেই সঙ্গে দ্বিতীয় সংসারে পালিত কন্যা হিসেবে ঝিনুক বেড়ে উঠে। তবে সম্প্রতি নাসির উদ্দিন দাদনের সংসারের কর্তৃত্ব ছিল পালিত কন্যা ঝিনুকের কাছে।
এ নিয়ে আনোয়ারা ও তার জামাতার সাথে তাদের বিরোধ তৈরি হয়। সংসারে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর জের ধরে আজ দুপুরে নাসির উদ্দিনের প্রথম সংসারের মেয়ে আনোয়ারা ও তার স্বামী চঞ্চল তাকে কিল-ঘুষি মারে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে মেয়ের জামাতা চঞ্চল মিয়াকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
নিহতের পালিত কন্যা ঝিনুক বলেন, সোমবার বাড়ির পাশের সড়কে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে তারা আমাকে গালিগালাজ করে ও হুমকি দেয়। এর জের ধরে আজ দুপুরে রেললাইন এলাকা দিয়ে রিকশা যোগে যাওয়ার সময় আমার বাবাকে মারধর করে আমার সৎ বোন ও তার জামাতা। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মেয়ে ও মেয়ের জামাতা বৃদ্ধকে কিল ঘুষি মারে।
এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাতাকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।