
বন্দর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে এক রাতে দুই খুনের ঘটনায় নাসিক সাবেক কাউন্সিলরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী। এর আগে বুধবার (২৫ জুন) ভোরে গাজীপুর সদরের গাজীপুরা ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ হান্নান সরকার, তার দুই ছেলে জুনায়েদ ও ফারদিন, বাবু শিকদার।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, বন্দরে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।
এর আগে গত ২১ জুন রাতে বন্দর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও ইজিবাইক স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য (বহিস্কৃত) হান্নান সরকার এবং বিএনপির কিছু নামধারীদের মধ্যে কয়েকমাস ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল।
এদের মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রনি ও জাফর, পারভেজ এবং অপর একটি পক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী বাবু সিকদার, বাবু ওরফে জুয়ারি বাবু ও শ্যামল।
গত শনিবার বিকেলে উভয়পক্ষ শাহী মসজিদ, বন্দর রেললাইন ও হাফেজীবাগ এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দেন। রাতে বন্দর রেললাইন এলাকায় আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) সড়কের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এদিকে আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয় এলাকায়। টহলে ছিল সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রনি ও জাফর গ্রুপের লোকজন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মেহেদী হাসানকে (৩৮) ধরে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে ডাক্তার। এ ঘটনায় বন্দর থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।