
ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। এতে করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
সর্বশেষ গত ৮ জুলাই কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে হাট-ঘাট টাকা আত্মসাৎ, বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে আওয়ামিলীগ নেতাদের সদস্য নেয়া, টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা, দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছিল কাশীপুরের যুবদল ও ছাত্রদের নেতৃবৃন্দরা।
এছাড়াও স্থানীয়রাও নানা অভিযোগ করেছেন কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে রয়েছে, কাশীপুরের আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতাদের শেল্টার দেয়ার পাশাপাশি মামলা বাণিজ্য করেছে কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপি। গত কোরবানি ঈদের আগে ফতুল্লা দায়ের করা একটি মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করাসহ মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠছিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে।
যা প্রকাশ হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। পরবর্তীতে কাশীপুরে অস্থায়ী পশুর হাটের টাকা আত্মসাধার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা করেন কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির একাংশ নেতাকর্মীরা।
সর্বশেষ গত ৭ জুলাই কাশীপুরের ৪নং ওয়ার্ডের হাটখোলা মাঠে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। অনুষ্ঠানের পরের দিন সংবাদ সম্মেলন করেন কাশীপুরের যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা বলেন, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দেয়া হয়নি। অথচ অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের দোসরদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। এসময় প্রমান হিসেবে বেশ কয়েকটি ছবি দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে শামীম আহাম্মদকে। শামীম আহাম্মদ চিহ্নিত ভূমিদস্যু, হত্যা মামলার আসামী ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ কয়ে দেয়া হয়েছে।
কাশীপুর হাট থেকে ৬৫ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। অথচ শেয়ারহোল্ডারদের ১৪ লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকার কোন হিসেব দিচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের ময়লা কাশীপুর খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। এর এই ময়লার টাকার ভাগ নিচ্ছে ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা।
স্থানীয়রা জানান, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির নামে কাশীপুরের বিভিন্ন সেক্টর দখল, জমি দখল, চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা, হাট-ঘাট দখল, মামলা বাণিজ্য, ইট-বালু ব্যবসা দখন, নেট ব্যবসা দখল থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এতেকরে বদনাম হচ্ছে বিএনপির।
তাই দ্রুত কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা।