
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী কদমতলী দশতলা ভবন এলাকার বাইতুত তাক্বওয়া জামে মসজিদ এর নির্মাণ কাজকে ঘিরে স্থানীয় বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ ডালীর বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি নেতার এহেনকান্ডে এলাকাজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শামীম ডালী তার দলবল নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে নির্মাণ কাজের তদারকি করতে উপস্থিত হলে তাকে নিয়ে এলাকায় নানারকম আলোচনা শুরু হয়।
শামীম আহমেদ ডালী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ৭১ নম্বর সদস্য এবং থানা জাসাসের আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কদমতলী এলাকার ওই মসজিদটি আগে টিনশেড ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পুনর্র্নিমাণের চেষ্টা চললেও অর্থ সংকটে কাজ শুরু করা যায়নি।
অবশেষে নীট কনসার্ট গার্মেন্টস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় দানশীল ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলম এগিয়ে আসেন। তিনি মসজিদটি অন্তত দুই তলা পর্যন্ত নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং তার আর্থিক সহায়তায় কাজ শুরু হয়।
বুধবার দুপুরে মসজিদের কাজ পরিদর্শনে এসে জাহাঙ্গীর আলম শামীম ডালীর ফোনকল পান। শামীম ডালী ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে বলেন কার নির্দেশে কাজ চলছে, আমাকে না জানিয়ে কেন কাজ শুরু হলো।
এ সময় ফোনটি লাউড স্পিকারে দেওয়া থাকায় কথোপকথন শুনে উপস্থিত মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে জাহাঙ্গীর আলম ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মুসল্লিদের শান্ত করেন।
এলাকার সাধারণ মুসল্লিদের প্রশ্ন, মসজিদের উন্নয়নে আগে কখনো শামীম ডালীকে দেখা যায়নি। জুমার নামাজে জায়গার সংকটে যখন মুসল্লিরা কষ্ট পেত তখন তিনি কোথায় ছিলেন অথচ এখন উন্নয়ন কাজে বাধা দিচ্ছেন। যিনি মসজিদের উন্নয়ন কাজ ঠেকাতে চান, তিনি কখনো জনগণের প্রতিনিধি হতে পারেন না।
শামীম ডালী এলাকায় কিছু উন্নয়ন কাজের নামে শুধু ফটোসেশন করে থাকেন এবং পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে নিজেকে সমাজসেবক হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করেন।
তিনি নিজেকে বড় নেতা ভাবেন এবং কোন অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ না জানালে ক্ষুব্ধ হন। মসজিদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শামীম ডালী বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল মসজিদের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
আমি সবসময় ৭নং ওয়ার্ডের মানুষের কল্যাণ ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করে আসছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়েই উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে চাই।