বন্দরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সন্ত্রাসী হামলায় ২ যুবক রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা আহতদের কাছ থেকে নগদ ২৬ হাজার ৯’শ ৬ টাকা, ১ ভরি ৮ আনা ওজনের ১টি রুপার ব্রেসলেট ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আহরা হলো বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর ইস্পাহানী মসজিদ পাড়া এলাকার মৃত মালেক সরদারের ছেলে মনির সরদার (৩৮) ও একই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে তারেই বন্ধু রুবেল (৩৬)।
স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আহত মনির হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে সন্ত্রাসী হামলার ওই দিন দুপুরে হামলাকারি আনোয়ার, সাদ্দাম, শুক্কুর,ইমরান হোসেন ও রিপনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর বাজারের সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর এলাকার মৃত আক্কাস আলী মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন একই এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হবি মিয়ার ২ ছেলে মাদক সম্রাট শুক্কুর ও তার ছোট ভাই রিপন এবং বন্দর চিতাশাল এলাকার ইমরান হোসেন গং বিগত আওয়ামী সরকারের দোসর এবং চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
অভিযোগের বাদী ও তার বন্ধু রুবেল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউছার আশার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য বন্দর থানাধীন একরামপুর ইস্পাহানি মাছ বাজারে লোক সমাগম করার সময় উল্লেখিত বিবাদীরা আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে উক্ত স্থান থেকে চলে যেতে বলে।
ওই সময় অভিযোগের বাদী ও তার সহযোগী বন্ধু রুবেল বিবাদীদের এহেন আচরণে প্রতিবাদ করলে এবং বিবাদীদের মাদক বিক্রির কাজে বিঘ্ন ঘটলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগের বাদীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় মাদক সম্রাট বিবাদী শুক্কুর ও তার ছোট ভাই রিপন ও ইমরান ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগের বাদী ও তার বন্ধুকে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে এবং ১নং বিবাদী আনোয়ার হোসেন তার সাথে থাকা ধারালো কেচি দিয়ে অভিযোগের বাদী ডান চোখের উপরের দিকে এবং পিঠে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত কাটা গুরুতর জখম করে।
২নং বিবাদী সাদ্দাম লোহার বাটখারা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট নীলাফুলা জখম করে। এ ছাড়াও ২নং বিবাদী সাদ্দাম ৩নং বিবাদী শুক্কুর ও ৫ নং বিবাদী রিপন বাদীর বন্ধু রুবেল (৩৬) কে মারপিট করে।
মারপিটের এক পর্যায়ে ১নং ও ৪নং বিবাদীরা আমার ট্রাউজারের ডান পকেটে থাকা ব্যবসায়ী কাজের নগদ ২৬ হাজার ৯’শ ৬ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ২নং, ৩নং ও ৫নং বিবাদীগন বাদীর বন্ধু রুবেলকে মারপিট করে তার সাথে থাকা একটি রিয়েলমি ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৬ হাজার টাকা, ১ ভরি ৮ আনা ওজনের রুপার ব্রেসলেট যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ হাজার ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারি আনোয়ার ও সাদ্দামসহ অন্যান্য বিবাদীগন অভিযোগের বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।


































