নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪

রূপগঞ্জ ট্রাজেডি : জামিন পেলেন হাসেমসহ তার অপর দুই ছেলে

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০০:১৯, ২০ জুলাই ২০২১

রূপগঞ্জ ট্রাজেডি : জামিন পেলেন হাসেমসহ তার অপর দুই ছেলে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত হাসেম গ্রুপের মালিক আবুল হাসেম (৭০) সহ তার অপর দুই ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫) কে জামিন দিয়েছেন আদালত।


সোমবার (১৯ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত এ জামিন দেন। এর আগে জামিন পান তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১)। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন- শাহান শান আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)।


নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এর আগে শনিবার (১০ জুলাই) গ্রেফতার আট জনকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭ ধারায় হত্যা এবং হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে আদালত প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চার দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে তাদের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সবার জামিনের আবেদন করলে আদালত তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীম (২১)জামিনের আদেশ দেন।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, হত্যা ও হত্যার অভিযোগে ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭ ধারায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেমসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।


গ্রেফতার আটজন হলেন- সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম (৭০), তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১), শাহান শান আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)।

পুলিশের দায়ের করা এই মামলার পর শ্রম আদালতে শ্রম আইনের ৮০ ধারায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ডিজিএমের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কতৃপক্ষ।


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে।

 

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ সময়ের মধ্যে দগ্ধ হয়ে ৪৯ জন মারা গেছে এবং ভবনের বহুতল থেকে লাফিয়ে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।