নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

০৮ জুলাই ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সকল গ্লানি ও দূর্নাম মুছে ফেলতে হবে : গিয়াসউদ্দিন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:০৮, ৭ জুলাই ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সকল গ্লানি ও দূর্নাম মুছে ফেলতে হবে : গিয়াসউদ্দিন

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন,  সারা দেশের মানুষ বিএনপির পদ সদস্য সংগ্রহ করার জন্য স্বাচ্ছন্দে এগিয়ে আসছেন।

একজন মানুষ যদি বিএনপি'র সদস্য হয় সে সর্বপ্রথম দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারবেন। যে আজকে বিএনপির সদস্য হবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আছেন এটা গর্ব করে সব জায়গায় বলে যেতে পারবেন। 

যদি কেউ বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করে তাহলে বর্তমান রাজনৈতিক যে অবস্থা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের একজন সহকর্মী হতে পারবেন। কেউ যদি সদস্য হোন তাহলে বৃহত্তম পরিসরে আপনি বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের সহকর্মী হতে পারবেন।

যেখানে আপনি পরিচয় দিবেন আপনি বিএনপির একজন সদস্য দেশের শত শত মানুষ হাজার হাজার মানুষ আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনার সাথে তার একটা বন্ধুত্বের বন্ধন রচনা হবে। 

সোমবার (৭ জুলাই) ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের হাটখোলা মাঠে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের  উদ্যোগে আয়োজিত  বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন,  নারায়ণগঞ্জের সকল মানুষই ভালো। শুধু একটি পরিবার ও তাদের ছত্রছায়া যারা ছিল তারা কুলাঙ্গার তারা খারাপ তাদের কারণে বদনাম হয়েছে নারায়ণগঞ্জের। ৫ তারিখে তারা পালিয়ে গেছে এখন আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের কাজ কি। আমাদের এই বদনাম গোছাতে হবে।

আগামী দিন যেন আমাদের সন্তানরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে নারায়ণগঞ্জের পরিচয় দিতে পারে। একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। নারায়ণগঞ্জের যত গ্লানি যত দূর্নাম আছে আমাদের মুছে ফেলতে হবে। 

তিনি বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচন করে এই কাশীপুর থেকে বিজয় লাভ করে। কাশীপুরের সবচেয়ে বেশি যেমন দলীয় নেতা কর্মী রয়েছে তেমনি রয়েছে সমর্থক। আপনারা এখান থেকে সদস্য ফরম নিবেন এবং দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সদস্য হবেন।  আমার সহকর্মী নেতৃবৃন্দ যারা আছেন তাদেরকে আমি আহবান করব প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্যসপদ সংগ্রহ করবেন।

সবাইকে এ দলের সদস্য করা যাবে শুধু করা যাবে না এদেশে যারা খারাপ মানুষ ভালো মানুষ হলেই সদস্য করবেন। যে আগ্রহ দেখাবে তাকে সদস্য করবেন কাউকে ফিরাবেন না। যত সদস্য বেশি করবেন ততই আমাদের দলসমৃদ্ধি হবে। বিশাল পরিষদে কাজ করতে পারবো। 

গিয়াসউদ্দিন বলেন, ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামের সবচেয়ে বেশি ভূমিকায় রেখেছে বিএনপি। সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলি। এত আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার এত রক্ত ঝরিয়েছে রাজপথে। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি। কখনো মাঠ থেকে পালিয়ে যায়নি। 

যত মিথ্যা মামলা হয়েছে জেলে নিয়েছে হত্যা গুম হয়েছে তারপরও আমরা আন্দোলন ছেড়ে কোনদিন পালিয়ে যাইনি। জেলে নিয়েছে জেল খেটেছে মামলা হয়েছে ফেইস করেছি কিন্তু দেশ ছেড়ে পালায় নাই। আর যারা সিংহ পুরুষ ছিল। যারা গডফাদারদের অন্যতম ছিল, হুংকার দিত অনেক সুন্দর কাহিনী নিয়ে।

নারায়ণগঞ্জে তারা প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে রাজনীতি করেছে। অনেক মায়ের বুক খালি করেছে। তারা কি সিংহ পুরুষ। যুদ্ধের মাঠে কারা পালিয়ে যায় কাপুরুষ। আর পালিয়ে যায় চোর ডাকাতরা।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিন তার লেফটেন্ট স্যারদের নিয়ে পালিয়েছে। সে একটা কাপুরুষ, সে একটা চোর, সে একটা ডাকাত, বাটপার এদশের এদেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। গণহত্যা করেছে সে পালিয়ে গেছে এরা দেশে ফিরে আসতে পারে না। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে তারা দেশ ছাড়া নাই। 

নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে কিন্তু এমন ভাবে পালিয়ে যায় বিশ্বের ইতিহাসে আর কোথাও নাই। আবার তারা স্বপ্ন দেখছে এদেশে তারা ফিরে আসবে এ দেশকে দখল নিবে। তাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের নাকি তারা শায়েস্তা করবে এখনো তারা মাতৃগর্ভে আছে। 

নারায়ণগঞ্জের তিন, চার ও পাঁচ এই তিনটি আসন ছিল ওসমান পরিবারের হাতে। এই তিনটি আসনে শামীম পরিবার সন্ত্রাসী করতো। আর বাকি আসনে নিজস্ব এমপি বলে সন্ত্রাসী ছিল।

তারা অন্যায় অবিচার করেছে, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুনাম সূখেতি ধ্বংস করেছে কে যদি বলি একটাই পরিবার সে জোহা পরিবার। বাটপার, চোর, ডাকাত মিথ্যাবাদী অভিনেতা এই একটি পরিবার নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুনাম সুখেতি সব ধ্বংস করেছে।

কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মইনুল হোসেন রতনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফ মন্ডল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, ফতুল্লা থানা সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কবির প্রধান, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ও ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আলমগীর হোসেন, থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ হাজি মাসুদুর রহমান, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ রাসেল মাহমুদ,  এমএইচ হোসেন প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত বিষয়: